সালিশে কিশোরীকে চেয়ারম্যানের বিয়ের ঘটনা তদন্তে হাইকোর্টের নির্দেশ

পটুয়াখালীর বাউফলে সালিশ বৈঠকে কিশোরীকে পছন্দ হওয়ায় তার সঙ্গে চেয়ারম্যানের বিয়ের ঘটনা তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ক্ষমতার অপব্যবহার কেন কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত খবর আমলে নিয়ে আজ রোববার (২৭ জুন) বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এই স্বপ্রণোদিত আদেশ দেন।

এর আগে শুক্রবার (২৫ জুন) দুপুরে বাউফলের কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীকে বিয়ে করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একই ইউনিয়নে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই কিশোরীর। বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) রাতে তারা দুজন পালিয়ে যায়। বিষয়টি কিশোরীর বাবা কনকদিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারকে জানান। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে শুক্রবার কনকদিয়া ইউপি কার্যালয়ে ছেলে ও মেয়ের দুই পরিবারকে আসতে বলেন চেয়ারম্যান।

সে অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে দুই পরিবারের সদস্যরা ইউপি কার্যালয়ে আসেন। সেখানে মেয়েটিকে দেখে পছন্দ হয়ে যায় চেয়ারম্যানের। তিনি মেয়েটিকে বিয়ে করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। শুক্রবার দুপর ১টায় স্থানীয় কাজী মো. আবু সাদেককে বাড়িতে ডেকে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে ওই কিশোরীকে বিয়ে করেন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার।

বিয়ের পর এ ঘটনা জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। শনিবার (২৬ জুন) ওই একই কাজীর মাধ্যমে তালাক সম্পন্ন হয়।

শাহিন হাওলাদার জানান, ওই মেয়ে তাকে স্বামী হিসেবে মেনে না নেওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে মেয়েটিকে তার বাবার সঙ্গে তাদের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.