প্রথমবারের মতো জাতিসংঘে মুসলিমদের পক্ষে ভোট দিল ইসরায়েল

উইঘুরদের ওপর চীনা নির্যাতনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের একটি বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছে ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের চাপে পড়ে এই প্রথমবারের মতো ইসরায়েল এমন কাজ করেছে বলে টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে বলা হয়েছে।

প্রায় দশ লাখ উইঘুর মুসলিমকে অন্যায়ভাবে ক্যাম্পে বন্দী করে রাখার বিষয়ে গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে ওই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করে ইসরায়েল।

তবে চীনকে বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করে ইসরায়েল। দেশটির বিরুদ্ধে এই প্রথম কোনো বিবৃতিতে স্বাক্ষর করল ইসরায়েল।

বিবৃতিতে বলা হয়, উইঘুরদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালাচ্ছে চীন। অমানবিক ও অবমাননাকর শাস্তি, যৌন ও লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা এবং বাবা-মায়ের কাছ থেকে শিশুদের জোর করে আলাদা করে দিচ্ছে চীন সরকার।

অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, স্পেন এবং যুক্তরাষ্ট্রও ওই বিবৃতিতে সমর্থন জানিয়েছে।

তবে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে চীনের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া নিয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

চীনের সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর দমন-পীড়ন ও নির্যাতন চালানোর অভিযোগে দেশটির ওপর আগেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে পশ্চিমা দেশগুলো।

উল্লেখ্য, চীন দীর্ঘদিন ধরে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ জিনজিয়াংয়ে ১০ লাখ সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের বিভিন্ন ক্যাম্পে আটক রেখে জোর করে কাজ করানো, নির্যাতন ও নারীদের ধর্ষণ করে আসছে বলে অভিযোগ আছে।

ক্যাম্প থেকে ছাড়া পাওয়া একাধিক উইঘুর মুসলিম ছাড়াও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এ নিয়ে বহুদিন ধরেই চীনের সমালোচনা করে আসছে। তবে চীন উইঘুর নির্যাতনের বিষয়টি বরাবরই প্রত্যাখ্যান করে এটিকে সন্ত্রাসবাদ দমনে পুর্নশিক্ষা (রি-এডুকেশন) কার্যক্রম বলে দাবি করেছে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.