করোনা মহামারির তাণ্ডবে টালমাটাল বিশ্ব। বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। এর মধ্যে এপ্রিল মাসে দেশে হঠাৎ করেই করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুতে ব্যাপক উল্লম্ফন হয়। মাঝে কিছুদিন শনাক্ত ও মৃত্যু কমলেও আবারও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে করোনা। প্রতিদিনই আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যু। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে শনাক্ত ও মৃত্যু কিছুটা কমেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে চার হাজার ৩৩৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত ৭ এপ্রিল করোনা রোগী শনাক্ত হয় সাত হাজার ৬২৬ জন। যা একদিনে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড।
আগের সাত দিনে দেশে যথাক্রমে ৫৮৬৯, ৬০৫৮, ৫৭২৭, ৪৮৪৬, ৪৬৩৬, ৩৬৪১ ও ৩০৫৭ জন রোগী শনাক্ত হয়।
সর্বশেষ তথ্য অনুসারে দেশে নভেল করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে আট লাখ ৮৩ হাজার ১৩৮ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৯ হাজার ২৬২ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আর পরীক্ষাকৃত এসব নমুনার ২২ দশমিক ৫০ শতাংশের মধ্যে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
এর আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে নমুনা পরীক্ষা করা হয় ২৭ হাজার ৬৫৩টি দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৪ লাখ ৮২ হাজার ৩৮১টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬২ শতাংশ।
আজ শনিবার (২৬ জুন) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
একনজরে দেশের করোনার চিত্র
নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন: ৪৩৩৪ জন
মোট আক্রান্তের সংখ্যা: ৮৮৩১৩৮জন
২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে: ৭৭ জনের
মোট মৃত্যু হয়েছে: ১৪৫৩ জনের
২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন: ৩২৯৫ জন
মোট সুস্থ হয়েছেন: ৮০৮৮৫ জন
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৭৭ জন মারা গেছেন, যা একদিনে মৃত্যুতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ১৯ এপ্রিল করোনায় মারা যান ১১২ জন, যা এ যাবতকালের সর্বোচ্চ মৃত্যু। এর আগে ১৮ এপ্রিল দেশে করোনায় মারা যান ১০২ জন। এছাড়া ২৫, ১৭ ও ১৬ এপ্রিল দেশে করোনায় মারা যান ১০১ জন।
গত সাত দিনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন যথাক্রমে ১০৮, ৮১, ৮৫, ৭৬, ৭৮, ৮২, ৬৭ ও ৫৪ জন।
সর্বশেষ তথ্য অনুসারে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫৩ জনে। মোট শনাক্তকৃত রোগীর বিপরীতে মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫৯ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৩ হাজার ২৯৫ জন সুস্থ হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা থেকে মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৮৮৫ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
অর্থসূচক/এমএস



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.