কমতে পারে ব্যাংক-পুঁজিবাজারে লেনদেনের সময়

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সারাদেশে ঘোষিত শাটডাউন বা কঠোর লকডাউনে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস বন্ধ থাকলেও খোলা থাকতে পারে ব্যাংক ও পুঁজিবাজার। তবে ব্যাংকে লেনদেনের সময় কিছুটা কমতে পারে। এমনটি হলে পুঁজিবাজারেও লেনদেনের সময় কমবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

দেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আগামী সোমবার (২৮ জুন) থেকে সারাদেশে এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউন শুরু হচ্ছে। এক সপ্তাহ পর পরিস্থিতি পর্যালোচনার পর প্রয়োজন মনে করলে লকডাউনের মেয়াদ বাড়াতে পারে সরকার।

এবারের লকডাউনে জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব সরকারি, বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। জরুরি পণ্যবাহী যান ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচলও বন্ধ থাকবে। অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে ব্যবহৃত যানবাহন চলাচল করতে পারবে।

লকডাউন চলাকালে জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারবেন না। গণমাধ্যম লকডাউনের আওতা বহির্ভূত থাকবে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, লকডাউনে জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় বাধ্য করতে কঠোর হবে সরকার।

লকডাউন চলাকালে সব সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকলেও ব্যাংক খোলা থাকবে বলে জানা গেছে। কারণ ব্যাংকিং জরুরি সেবা হিসেবে গণ্য। তবে পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় লেনদেনের সময় কিছুটা কমানো হতে পারে। কিন্তু সময় কতটা কমবে বা আদৌ কমানো হবে কি-না তা চূড়ান্ত হবে লকডাউন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির পর সেটি পর্যালোচনা করে। শনিবার এই প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।

ব্যাংক খোলা থাকলে যে পুঁজিবাজারও খোলা থাকবে, তা একাধিকবার বিএসইসি নিশ্চিত করেছে। এবারও ব্যাংক খোলা থাকলে পুঁজিবাজার খোলা থাকবে ।তবে ব্যাংকে লেনদেনের সময় কমলে তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে পুঁজিবাজারে লেনদেনের সময় পুননির্ধারণ করা হতে পারে। এই সময়ও কিছুটা কমতে পারে।

বর্তমানে ব্যাংকে সাড়ে ৫ ঘণ্টা লেনদেন হয়। সকাল ১০টায় লেনদেন শুরু হয়ে তা বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলে। অন্যদিকে পুঁজিবাজারে লেনদেন হয় সাড়ে ৪ ঘণ্টা। সকাল ১০টায় লেনদেন শুরু হয়ে তা বেলা আড়াইটা পর্যন্ত চলে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.