ইভ্যালিসহ ১০ ই-কমার্সের কেনাকাটায় নিষেধাজ্ঞা দিল ব্র্যাক ব্যাংক

বহুল আলোচিত ই-কমার্স সাইট ইভ্যালি থেকে থেকে ক্রেডিট, ডেবিট ও প্রি-পেইড কার্ডের মাধ্যমে কেনাকাটায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। তালিকায় রয়েছে আরও ৯টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান।

ব্র্যাক ব্যাংকের কোনো কার্ডের মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠানের সাথে কোনো লেনদেন তথা কোনো জিনিস কেনা যাবে না। গ্রাহক ও ব্যাংকের স্বার্থে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যাংকটি।

নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ই-অরেঞ্জ, ধামাকা শপিং, সিরাজগঞ্জ শপিং, আলাদিনের প্রদীপ, বুম বুম, কিউকম, আদিয়ান মার্ট ও নিডস ডট কম বিডি।

ইভ্যালিসহ দেশের বেশ কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান বাজার মূল্যের চেয়ে অনেক কম দামে পণ্য বিক্রির অফার দিয়ে সাধারণ ক্রেতাদের প্রলুব্ধ করছে। তাদের কাছ থেকে আগাম টাকা নিয়ে কয়েক মাস পর ওই পণ্য সরবরাহ করছে। ফলে তাদের কাছে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা থাকছে। এ অবস্থায় কোম্পানিটি বসে গেলে বা কর্তৃপক্ষ ওই টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে গেলে ওই ক্রেতাদের সব টাকা হারাতে হবে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের এক পরিদর্শনে উঠে এসেছে, ইভ্যালির চলতি সম্পদের পরিমাণ ৬৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এর বিপরীতে প্রতিষ্ঠানটির দেনার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪০৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। সম্পদের চেয়ে ৬ গুণের বেশি এই দেনা পরিশোধ করার সক্ষমতা কোম্পানিটির নেই।

ইভ্যালির কৌশল অবলম্বনকারী অন্য ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর চিত্র কম-বেশি একইরকম। তাদেরও দায়-দেনার পরিমাণ নিজেদের মূলধন বা সম্পদের চেয়ে অনেক বেশি। তাই প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে দীর্ঘমেয়াদে টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব। প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে গেলে সেখানে জমা রাখা গ্রাহকদের টাকা ফেরত পাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে। পাশাপাশি যেসব প্রতিষ্ঠান এই ই-কমার্স সাইটগুলোকে বাকীতে পণ্য সরবরাহ করছে তারা পণ্য-মূল্য পাবে না।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.