২০৪ ইউপি ও লক্ষ্মীপুর-২ আসনে ভোট চলছে

লক্ষ্মীপুর-২ সংসদীয় আসন, ঝালকাঠি ও দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ পৌরসভা এবং প্রথম ধাপের ২০৪টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।

আজ সোমবার (২১ জুন) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়; একটানা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। সকাল পৌনে ৭টার দিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ভোটাররা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছেন।

ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তায় র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসারের প্রায় ৫০ হাজার সদস্য মাঠে নামানো হয়েছে। এছাড়াও রয়েছেন জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

ইসি জানিয়েছে, কুয়েতের আদালতে কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল দণ্ডিত হওয়ায় লক্ষ্মীপুর-২ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়।

এ আসনে আজ অনুষ্ঠেয় উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী শেখ ফায়িজ উল্যাহ শিপন। ১৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ২ হাজার ৯২৩ জন। কেন্দ্র রয়েছে ১৩৬টি এবং ভোটকক্ষ ৯৭৯টি। এ আসনের নির্বাচনে সাধারণ ভোটকেন্দ্রের পাহারায় ১৭ থেকে ১৮ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮-১৯ জন মোতায়েন থাকছেন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এই আসনে পুলিশের ২০টি মোবাইল ও ১০টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, র‌্যাবের ১০টি টিম ও বিজিবির ১০ প্লাটুন সদস্য মাঠে রয়েছেন। এছাড়া ২২ জন নির্বাহী ও ২ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এ আসনে ভোটগ্রহণ চলছে।

অপরদিকে ঝালকাঠি পৌরসভা নির্বাচনে দুইজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন -স্বতন্ত্র প্রার্থী আফজাল হোসেন ও ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের হাবিবুর রহমান।

এ পৌরসভায় ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৬৩৬ জন। সেতাবগঞ্জ পৌরসভায় প্রার্থী পাঁচজন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের মো. আসলাম, ওয়ার্কার্স পার্টির রশিদুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজমুন নাহার মুক্তি, নাহিদ বাসার চৌধুরী ও হাবিবুর রহমান দুলাল। দুই পৌরসভায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ চলছে।

সূত্র জানায়, ২০৪ ইউপির মধ্যে ১৮৪টিতে কাগজের ব্যালটে এবং বাকি ২০টিতে ইভিএমে ভোট হবে। ২০৪ ইউপির মধ্যে ২৮টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছেন। বাকি পদগুলোয় ভোট হবে। ১৩টি জেলার ৪১টি উপজেলায় এসব ইউপি অবস্থিত। এতে চেয়ারম্যান পদে ৮৫৯ জন, সংরক্ষতি মেম্বার পদে ২ হাজার ১৫৪ জন এবং সাধারণ মেম্বার পদে ৬ হাজার ৯৬০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এসব ইউপিতে ভোটকেন্দ্র ১ হাজার ৮৩৬টি এবং ভোটকক্ষ ১০ হাজার ২৬০টি। এতে ৩২ হাজার ৭২৭ জন নির্বাচন কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। ইউনিয়ন পরিষদগুলোয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৪৫ হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ভোটকেন্দ্রে ৪০ হাজার ৩৯২ জন দায়িত্ব পালন করছেন।

কেন্দ্রের বাইরে নির্বাচনি এলাকায় পুলিশের মোবাইল টিম ২০৪টি, স্ট্রাইকিং টিম ৭৪টি, র‌্যাবের ১২৪টি টিম ও বিজিবি ১২৩ প্লাটুন সদস্য রয়েছেন। ইউপিগুলোয় ৩৯৩ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও ৪১ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

যেসব ইউপিতে ভোট চলছে
পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার পাংগাশিয়া, আংগারিয়া (ইভিএম) ও মুরাদিয়া। বাউফল উপজেলার ধুলিয়া, কেশবপুর, বগা (ইভিএম), চন্দ্রদ্বীপ, কালিশ্বরী, কনকদিয়া, আদাবাড়িয়া, কালাইয়া ও কাছিপাড়া। দশমিনা উপজেলায় আলীপুর, বহরমপুর ও বাঁশবাড়িয়া। গলাচিপা উপজেলায় আমখলা, গোলখালী, চিকনিকান্দি ও রতনদী তালতলী।

বরিশাল সদরের কাশিপুর, চরবাড়িয়া (ইভিএম), জাগুয়া ও টংগীবাড়ীয়া। বাকেরগঞ্জের চরাদি, দাড়িয়াল, দুধল, ফরিদপুর, কবাই, নলুয়া, কলসকাঠি, গারুড়িয়া, ভরপাশা, রঙ্গাশ্রী ও পাদ্রীশিবপুর।

উজিরপুরের সাতলা, জল্লা, ওটরা, শোলক ও বোরোকোঠা। মুলাদীর নাজিরপুর, সফিপুর, গাছুয়া (ইভিএম), চরকালেখা, মুলাদী ও কাজিরচর। মেহেন্দিগঞ্জের মেহেন্দিগঞ্জ ও ভাষাণচর।

বাবুগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরনগর (ইভিএম), কেদারপুর, দেহেরগতি ও মাধবপাশা। গৌরনদীর বাটাজোড় (ইভিএম), সরিকল, খানজাপুর, বার্থি, চাদশী ও মহিলারা। হিজলার নলচিরা, মেমানিয়া, গুয়াবাড়িয়া ও বড়জালিয়া।

বানারীপাড়ার বিশারকান্দি, ইলুহার, চাখার, সালিয়াবাকপুর, বাইশারি, বানারীপাড়া ও উদয়কাঠি।

বরগুনা সদরের বদরখালী, গৌরিচন্না, ফুলঝুড়ি, কেওড়াবুনিয়া, আয়লাপাতাকাটা, বুড়িরচর, ঢলুয়া (ইভিএম), বরগুনা (ইভিএম) ও নলটোনা।

আমতলীর গুলিশাখালী, কুকুয়া, আঠারগাছিয়া, হলদিয়া, চাওড়া (ইভিএম) ও আরপাঙ্গাশিয়া।

বেতাগীর বিবিচিনি, বেতাগী (ইভিএম), হোসনাবাদ, মোকামিয়া, বুড়ামজুমদার, কাজিরাবাদ ও সরিষামুড়ি।

বামনার বুকাবুনিয়া, বামনা, রামনা ও ডৌয়াতলা। পাথরঘাটার কালমেঘা, কাঁকচিড়া ও কাঁঠালতলী।

পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার ভিটাবাড়িয়া, নদমুলা-শিয়ালকাঠী, তেলিখালী (ইভিএম), ধাওয়া ও গৌরিপুর। ইন্দুরকানীর বালিপাড়া।

পিরোজপুর সদরের কদমতলা (ইভিএম), কলাখালী, টোনা ও শারিকতলা। মঠবাড়িয়ার তুষখালী (ইভিএম), মিরুখালী, বেতমোর রাজপাড়া, আমড়াগাছিয়া, সাপলেজা, হলতাগুলিশাখালী।

নেছারাবাদের আটঘর কুড়িয়ানা, বলদিয়া, গুয়ারেখা, দৈহারী, সোহাগদল, সারেংকাঠী, সুটিয়াকাঠী, স্বরুপকাঠী, সমুদয়কাঠী ও জলাবাড়ী। কাউখালীর আমড়াজুড়ি ও কাউখালী। নাজিরপুরের মাটিভাংগা, মালিখালী, নাজিরপুর ও সেখমাটিয়া (ইভিএম)।

ঝালকাঠি সদরের গাভারামচন্দ্রপুর, বিনয়কাঠী (ইভিএম), নবগ্রাম, কীর্তিপাশা, বাসন্ডা, গাবখান, ধানসিড়ি, শেখেরহাট, নথুল্লাবাদ (ইভিএম) ও কেওড়া।

নলছিটির ভৈরবপাশা (ইভিএম), মগড়, কুলকাঠি, কুশঙ্গল, নাচনমহল, রানপাশা, সুবিদপুর, সিদ্ধকাঠি, দপদপিয়া (ইভিএম) ও মোল্লারহাট। রাজাপুরের সাতুরিয়া, শুক্তগড় (ইভিএম), রাজাপুর, গালুয়া, বড়ইয়া ও মঠবাড়ী।

কাঠালিয়ার চেচরীরামপুর, পাটিখালঘাটা, আমুয়া, কাঠালিয়া, শৌলজালিয়া ও আওরাবুনিয়া।

ভোলার বোরহানউদ্দিনের গঙ্গাপুর ও সাচরা। তজুমদ্দিনের চাঁদপুর, চাচরা ও সম্ভুপুর। চরফ্যাশনের চরমাদ্রাজ, চরকলমি, হাজারীগঞ্জ, এওয়াজপুর ও জাহানপুর। মনপুরার হাজিরহাট ও দক্ষিণ সাকুচিয়া। নরসিংদী পলাশের গজারিয়া ও ডাংগা।

গাজীপুরের কালীগঞ্জের তুমুলিয়া, বক্তারপুর, জাঙ্গালিয়া, বাহাদুসাদী, জামালপুর ও মোক্তারপুর। মাদারীপুর শিবপুরের শিবচর, পাঁচ্চর, মাদবরেরচর, কুতুবপুর, কাদিরপুর (ইভিএম), দ্বিতীয় খণ্ড, ভান্ডারীকান্দি, বাঁশকান্দি, বহেরাতলা উত্তর, বহেরাতলা দক্ষিণ, নিলখী, শিরুয়াইল ও দত্তপাড়া।

সুনামগঞ্জ ছাতকের নোয়ারাই ও সিংচাপইড়। লক্ষ্মীপুরের রামগতির চর বাদাম, চর পোড়াগাছা ও চর রমিজ। কমলনগরের চর ফলকন, হাজিরহাট ও তোরাবগঞ্জ। রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার কল্যাণী এবং বগুড়ার দুপচাচিয়ার তালোড়া।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.