বাড়ি পেয়ে কাঁদলেন বীরাঙ্গনা শিলা, কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রীও

‘আমি ঘর পেয়ে খুবই খুশি। আগে রাস্তার ভিখারি ছিলাম, এখন আমি লাখপতি। শুধু বঙ্গবন্ধুকন্যার জন্য আমি এ পর্যায়ে আসতে পেরেছি। ভগবান আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী) দীর্ঘজীবী করুন।’

জমির মালিকানাসহ আধাপাকা ঘর পেয়ে এভাবেই নিজের অভিব্যক্তি তুলে ধরেন মৌলভীবাজারের কালাপুর ইউনিয়নের মাইজদিহি গ্রামের বীরাঙ্গনা শিলা গুহ। এসময় তার চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ে খুশির অশ্রু।

বীরাঙ্গনা শিলা গুহ-এর কান্নায় আবেগাপ্লুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন। কথা বলা শেষে চশমা খুলে চোখ মুছতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে।

আজ রোববার (২০ জুন) সারাদেশে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়ি হস্তান্তরের কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় কুড়িগ্রামের সদর, শেরপুরের ঝিনাইগাতি, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া ও মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার উপকারভোগীর সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

এসময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শ্রীমঙ্গলের বীরাঙ্গনা শিলা গুহ কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আমার মা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের আত্মা যেন শান্তি পায়, আমি সেই কামনা করি। তারা যেন স্বর্গ থেকে দেখতে পান, আমরা সুখী হয়েছি।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে শিলা গুহ বলেন, ঘর পেয়ে আমি অনেক খুশি। আমি আগে রাস্তার ভিখারি ছিলাম, এখন আমি লাখপতি। শুধু বঙ্গবন্ধু কন্যার জন্য এ পর্যায়ে আসতে পেরেছি আমি। প্রধানমন্ত্রীকে দীর্ঘজীবী করুক ভগবান। এই কামনা করি আমি।

বীরাঙ্গনা শীলা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি এখনও মা আপনার জন্য দু’টাকা করে বাতি জ্বালাই। এখনও প্রতিদিন আমি বাতি জ্বালাই, আমার বোন যেন সুখি থাকে। আমার বোনকে যেন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত করতে না পারে। আমার বোন যেন হাজার বছর বাঁচে, সেই কামনা করি।

তিনি আরও বলেন, আমি যুদ্ধের সময়েও ভাবতে পারিনি যে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেষ পর্যন্ত বৃদ্ধ বয়সেও আমাকে দেখে রাখবে। তাই আমি ভীষণ ভীষণ খুশি হয়েছি তার প্রতি। বঙ্গবন্ধু কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার কাছে আমার একটা দাবি, আমায় যে ঘর দিয়েছেন সেই ঘরে একবার আসবেন। আমি আপনাকে সাতকড়া দিয়ে তরকারি রান্না করে খাওয়াবো। এই বলে আমি আমার বক্তব্য শেষ করছি, ভুল-ত্রুটি হলে ক্ষমা মার্জনা করবেন।

এদিকে শিলা গুহের কান্নায় আবেগ আপ্লুত হয়ে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শিলা গুহের কথাগুলো বলা শেষ হওয়া মাত্রই চশমা খুলে চোখ মুছতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.