কঠোর হলো জাতিসংঘ: মিয়ানমারের ওপর অস্ত্রনিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব

অবশেষে মুখ খুললো জাতিসংঘ। গত ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে নির্বাচিত সরকারকে বন্দী করে ক্ষমতা দখল করে নেয় দেশটির সামরিক বাহিনী। এরপর গণতন্ত্র রক্ষায় দেশটির সাধারণ নাগরিকসহ রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা আন্দোলন-বিক্ষোভ করলে তাদের ওপর নির্যাতন চালায় জান্তা সরকার।

মিয়ানমার সেনা বাহিনীর ক্ষমতা দখলের চার মাস পার হতেই তাদের ওপর অস্ত্র-নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন আন্তঃসরকার সংস্থাটি। সেই সঙ্গে জান্তা সরকারের প্রতি নিন্দা-প্রস্তাবও গৃহীত হয়েছে।

জান্তা সরকারের কার্যক্রমের প্রতি নিন্দা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে সকল সহিংসতা বন্ধ করুন।

শুক্রবার (১৮ জুন) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিশ্বের ১১৯টি দেশ মিয়ানমারের ওপর অস্ত্রনিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাবে সমর্থন জানান। তবে একমাত্র স্বৈর-শাসিত বেলারুশ মিয়ানমারের জান্তা সরকারের পক্ষে মত দেয়। এছাড়া চীন-রাশিয়াসহ মোট ৩৬টি দেশ এ প্রস্তাবে মতামত দেয়া থেকে বিরত ছিল।

প্রস্তাবে মতামত দেয়া দেশগুলোর কেউ বলেছে, এ প্রস্তাবে রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রতি নৃশংস সামরিক আক্রমণের বিষয়ে কোনো কিছু উল্লেখ নেই। আবার অনেকে মিয়ানমারের এই সংকটকে দেশটির অভ্যন্তরীণ ইস্যু হিসেবে মত দিয়েছে।

তুরস্কের সাধারণ পরিষদের ৭৫তম সভাপতি বলকান ভোজকার বলেছেন, মিয়ানমার সামরিক বাহিনী বারবার মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এছাড়াও মত স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশসহ সকল মৌলিক মানবাধিকার রক্ষার জন্য আমাদের অবশ্যই সমর্থন জানাতে হবে।

মিয়ানমারে গত ১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতা দখল করে নেয় সামরিক বাহিনী। এরপর গণতন্ত্র রক্ষায় জান্তা সরকার বিরোধী আন্দোলনে মানুষ অংশ নিলে নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় ৮০০ জনেরও বেশি নিহত হয় এবং অন্তত পাঁচ হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সূত্র: আল-জাজিরা

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.