সৌদি আরবে ‘আন্দোলন ও প্রতিবাদ’ করার দায়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

সৌদি আরবে আন্দোলন ও প্রতিবাদ করার দায়ে মোস্তাফা হাশেম আল-দারউইশ নামের এক যুবকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলেছে, ওই যুবক যে সময় অপরাধ করেছিলেন, তখন তিনি কিশোর ছিলেন।

আজ বুধবার (১৬ জুন) দেশটির দাম্মাম শহরে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় বলে জানায় সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এই মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনা শুরু হয়েছে। কারণ সৌদি আরব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তারা কোনও অপ্রাপ্তবয়স্কের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করবে না।

২০১৫ সালে মোস্তাফা হাশেমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। তখন তার বয়স ছিল ১৮ বছরের নিচে।

মোস্তাফা হাশেমের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর সৌদি আরবের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলেছে, তিনি সন্ত্রাসী সংগঠন তৈরি ও সশস্ত্র বিপ্লবের চেষ্টা চালাচ্ছিলেন।

তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলেছে, এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর না করতে সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল তারা। এ ছাড়া মোস্তাফা হাশেমের বিচারও স্বচ্ছ হয়নি বলে দাবি করেছে তারা।

মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও মৃত্যুদণ্ড সাজা বাতিলের জন্য কাজ করা সংগঠন রিপ্রেইভ বলেছে, ২৬ বছর বয়সী মোস্তাফা হাশেমকে নির্যাতন চালিয়ে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছে। তিনি তার জবানবন্দি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ‘দাঙ্গা বাধিয়ে নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা’ এবং ‘বিভেদ সৃষ্টি করার’ অভিযোগ আনা হয়েছিল মোস্তাফা হাশেমের বিরুদ্ধে। ২০১১ ও ২০১২ সালে ১০টি ‘দাঙ্গায়’ মোস্তাফা হাশেম অংশ নিয়েছিলেন। এ ছাড়া সৌদি আরবের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে মারমুখী অবস্থান নিয়েছিলেন— এমন একটি ছবিও তাঁর বিরুদ্ধে প্রমাণ হিসেবে উত্থাপন করা হয়েছিল।

সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হত্যার চেষ্টা করেছিলেন মোস্তাফা হাশেম। তবে রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, আদালতে যেসব নথি উপস্থাপন করা হয়েছিল তাতে উল্লেখ ছিল না, ঠিক কত তারিখে মোস্তাফা হাশেম এই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন।

সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.