এবার মাঝরাতে হবে পাবনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর গভীর রাতে ক্লাস নেওয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) মাঝরাতে পরীক্ষা আয়োজনের রুটিন দিয়েছে একটি বিভাগ।

সংশ্লিষ্ট বিভাগের পরীক্ষা কমিটির সভাপতি দীপংকর কুণ্ডু স্বাক্ষরিত এক নোটিশ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বইছে। তবে বিষয়টি টাইপিং মিসটেক বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ।

নোটিশ সূত্রে জানা গেছে, পাবিপ্রবির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্যাডে ১২ জুন, ২০২১ ইং তারিখে একটি নোটিশ দেওয়া হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই বিভাগের ২০১৫-২০১৬ সেশনের ৪র্থ বর্ষ ১ম সেমিস্টারের তাত্ত্বিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট সকলকে যথা সময়ে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী ২৩ জুন কোর্স নং ইইই-৪১২১, ২৮ জুন ইইই-৪১৩৫, ৩ জুলাই ইইই-৪১০৯, ৭ জুলাই ইইই-৪১০১ এবং ১৩ জুলাই ইইই-৪১০৩ কোর্সের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি পরীক্ষা রুটিন মোতাবেক রাত সাড়ে ১০টায় শুরু হবে এবং শেষ হবে রাত দেড়টায়।

নোটিশ দেখার পরপরই সমালোচনা মুখর হন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ফেসবুকে শুরু হয় ব্যঙ্গ বিদ্রূপ। সুমাইয়া ইয়াসমিন নামে এক শিক্ষার্থী লিখেন, ‘বাহ তাহাজ্জুদ এর নামাজ পড়ে সবাই এক্সাম দিতে পারবে।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, পাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে কী চলছে, আমরা বুঝতে পারছি না। প্রতিদিনই কোনো না কোনো গণমাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতির খবর বের হয়। প্রশাসন কেবল প্রকল্পের টাকা হিসাব করা নিয়ে ব্যস্ত আর শিক্ষকরা যা খুশি তাই করছেন। পাবিপ্রবি নিয়ে এখন সবাই হাসাহাসি করে। আমরা চরম বিব্রত।

ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৫-২০১৬ সেশনের ৪র্থ বর্ষ ১ম সেমিস্টারের তাত্ত্বিক পরীক্ষা কমিটির সভাপতি দীপংকর কুণ্ডু রাতে পরীক্ষা গ্রহণের নোটিশটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি বলেন, এটি টাইপিং মিসটেক হয়েছে। ঠিক করে পুনরায় নোটিশ দেওয়া হবে।

সমালোচনার মুখে নোটিশ পরিবর্তন করা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে দীপংকর কুণ্ডু বলেন, এটি কোনো বড় বিষয় নয়। নতুন নোটিশ দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ রাত ৩টায় ক্লাস নিয়ে আলোচনার জন্ম দেন।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.