বিড়ির মূল্যস্তর কমিয়ে নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব

প্রস্তাবিত ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেট প্রতিক্রিয়ায় সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন। সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিক নেতারা বিড়ির মূল্যস্তর কমিয়ে নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম বৃদ্ধিসহ ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন।

আজ রোববার (০৬ জুন) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এম. কে. বাঙ্গালী বলেন, বিড়ির মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হল নিম্নস্তরের সিগারেট। বাজারে বিক্রি হওয়া প্রায় ৭২ শতাংশই নিম্নস্তরের সিগারেট। এসব নিম্নস্তরের সিগারেটের সিংহভাগই বিদেশি কোম্পানির দখলে। অথচ নিম্নস্তরের সিগারেটের উপর কোন শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়নি। ফলে বিড়ির বাজার দখল করে আছে নিম্নস্তরের সিগারেট। এতে সিগারেট কোম্পানিগুলো একচেটিয়া ব্যবসার সুযোগ পাচ্ছে।

তিনি বলেন, ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ির উপর প্রতি প্যাকেটে ৪ টাকা মূল্যস্তর বৃদ্ধি করা হয়েছিল। অপরদিকে নিম্নস্তরের সিগারেটে বৃদ্ধি করা হয়েছিল মাত্র ২ টাকা। এতে সিগারেট কোম্পানিকে সুযোগ করে বিড়ি শিল্পকে ধ্বংস করা হয়েছে। এ বছর বাজেটে যদি নিম্নস্তরের সিগারেটে মূল্যস্তর বৃদ্ধি না করা হয় তাহলে বিড়ি শিল্পের অস্তিত্ব চিরতরে বিলীন হয়ে যাবে। ফলে নিম্নস্তরের সিগারেটের ভোক্তা বেশি থাকা সত্বেও সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হতে বঞ্চিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবিত বাজেটে বিড়ির উপর শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব না করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। এছাড়াও অন্যান্য দাবির মধ্যে বিড়ির ওপর আরোপিত অগ্রিম ১০ শতাংশ আয়কর কমানো, নকল বিড়ি বন্ধ ও বিড়ি শিল্পকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র থেকে বিরত থাকার দাবি জানানো হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, যুগ্ম-সম্পাদক মো. হারিক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত লাভলু, প্রচার সম্পাদক মো. শামীম ইসলাম প্রমুখ।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.