কলাবাগানের নারী চিকিৎসককে হত্যা করা হয়েছে, দাবি মামার

রাজধানীর কলাবাগান এলাকা থেকে গ্রিন লাইফ হাসপাতালের চিকিৎসক কাজী সাবিরা রহমান লিপির (৪৭) রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লিপিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার মামা হারুন অর রশীদ মৃধা।

তিনি বলেন, লিপির রুমে আগুনের চিত্র থাকলেও এটি সাজানো ঘটনা। যাতে মানুষ মনে করে যে, আগুনে মারা গেছে। কিন্তু এটা সত্য নয়। লিপির ঘাড়ে ও পেছনে কোপের দাগ। এটি পরিকল্পিত হত্যা।

আজ সোমবার (৩১ মে) দুপুরে কলাবাগানের ৫০/১ ফার্স্ট লেন ভবনের নিজ ঘর থেকে ডা. লিপির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিকেলে ওই বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ অভিযোগ করেন তার মামা। এ কথা বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন হারুন অর রশীদ মৃধা।

তিনি বলেন, আজ সকালে ফোনে জানতে পারি আমার ভাগনি কাজী সাবিরা রহমান লিপি মারা গেছে। এরপর এই বাসায় এসে দেখি লিপির রুমে ছাই পড়ে আছে। এটি সাজিয়ে রাখা হয়েছে যাতে করে মানুষ বোঝে সে আগুনে মারা গেছে। কিন্তু এটা সত্য নয়।

হারুন অর রশীদ মৃধা আরও জানান, আমার ভাগনি নিহত কাজী সাবিরা রহমান লিপিরা তিন ভাই-বোন। দুই ভাই আছে অস্ট্রেলিয়াতে। চট্টগ্রাম থেকে ডাক্তারি পাস করার পর ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেছে। সবশেষ গ্রিন লাইফ হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিল লিপি।

এদিকে মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ওই বাড়িতে যায় সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ও মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তারা ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করছেন।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে ডিবি হেফাজতে (আটক নয়) নেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- নিহত সাবিরার বাসায় সাবলেট থাকা এক তরুণী, সেই তরুণীর বন্ধু ও বাসার দারোয়ান রমজান।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.