খালেদা জিয়ার জ্বর নিয়ন্ত্রণে এসেছে: ফখরুল

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জ্বর নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, আমি চিকিৎসকদের ধন্যবাদ দিতে চাই, তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে চিকিৎসা করছেন। সুচিকিৎসার কারণে দেশনেত্রীর জ্বর নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

আজ রোববার (৩০ মে) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮০তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে তার কবরে শ্রদ্ধা ও মোনাজাত শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়া জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। চিকিৎসকেরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে তার চিকিৎসা করছেন। চিকিৎসকদের সুচিকিৎসায় খালেদা জিয়ার জ্বর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তার জ্বর আর আসবে না বলে চিকিৎসকেরা আশা করছেন।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের দুঃখ হয়, যে নেত্রী গণতন্ত্রের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কারা–নির্যাতন ভোগ করেছেন, তাকে চিকিৎসার জন্য সুযোগ দেওয়া হয় না। বারবার বলা হয়েছে, তার অ্যাডভান্সড (উন্নত) চিকিৎসা দরকার। সেটা একটা অ্যাডভান্সড চিকিৎসা সেন্টার করা প্রয়োজন। কিন্তু সরকার প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির কারণে তাকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে।

করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে গত ২৭ এপ্রিল ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। করোনায় সংক্রমিত হওয়ার ২৭ দিন পর তার করোনা ‘নেগেটিভ’ আসে। এখনো তিনি একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

বিএনপির মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, দেশে নিবর্তনমূলক শাসনব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। গণতন্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে। দুর্ভাগ্য, এই জাতি লড়াই করেছিল একটি উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার জন্য। কিন্তু অত্যন্ত সচেতনভাবে সেই উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়ে আবার একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য ছদ্মবেশে কাজ করা হচ্ছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, শুধুমাত্র বিএনপি নয়, সমগ্র জাতি ফ্যাসিবাদের ভুক্তভোগী। তারা আমাদের স্বাধীনতা, বাকস্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, জিয়াউর রহমান একজন ক্ষণজন্মা নেতা। জাতীর প্রয়োজনে সামনে এসে দাঁড়িয়েছেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে নিজে রণাঙ্গণে থেকে যুদ্ধ করেছেন। যুদ্ধের মধ্য দিয়ে তারা দেশ স্বাধীন করেছেন। আবার ১৯৭৫ সালে একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে তিনি জাতিকে মুক্ত করেছেন। বহুদলীয় গণতন্ত্র উপহার দিয়েছেন।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান বিভক্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। নতুন বিপ্লব শুরু করেছিলেন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য। মাত্র সাড়ে তিন বছরে তিনি বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করেছেন। উন্নয়নের ভিত্তি স্থাপন করেছেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দুর্ভাগ্য আমাদের এই জাতি যুদ্ধ করেছিলো একটি উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য। আওয়ামী লীগ সচেতনভাবে উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়ে আবারো একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করেছে। তারাই পরিকল্পিতভাবে আজকে সাম্প্রদায়িকতা ও উগ্রবাদের জন্ম দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ এই দেশের স্বার্থের জন্য শুভ কাজ করেনি। তারা শুধু ধ্বংসই করেছে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.