ম্যান সিটিকে হতাশ করে চ্যাম্পিয়ন চেলসি

প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠেও ইউরোপের চ্যাম্পিয়ন হতে পারলো না ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি। দুর্দান্ত খেলেও আরেক ইংলিশ ক্লাব চেলসির কাছে ১-০ গোলে হেরে গেলো পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। এর ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জিতে নিলো চেলসি।

ম্যানচেস্টার সিটি এবার ইংলিশ লিগ ছাড়াও লিগ ওয়ানের ট্রফি জিতেছে। বিপরীতে চেলসি লিগে হয়েছে চতুর্থ। মাঝে দলটির দায়িত্ব নিয়ে টুখেল জাদু দেখাতে থাকেন। খারাপ অবস্থা থেকে দলকে টেনে তুলে একপর্যায়ে নিয়ে যান। ইংলিশ লিগ চ্যাম্পিয়ন ম্যান সিটিকে আগেও হারিয়েছেন। এবারও চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও তাদের জিততে দেননি।

গার্দিওলার ট্যাকটিসের বিপরীতে টুখেল নিজের কারিশমা দেখান। ম্যাচের শেষ পর্যন্ত তা ধরে রেখে ট্রফি জয়ের উল্লাসে মাতিয়েছেন সমর্থকদের।

পর্তুগালের পোর্তোর দ্রাগাও স্টেডিয়ামে দুই দলের ১২ হাজার দর্শক খেলা দেখার সুযোগ পেয়েছে। প্রথমার্ধে বল দখল ম্যানচেস্টার সিটি কিছুটা এগিয়ে থাকলেও আক্রমণে কিন্তু চেলসির আধিপত্য। টিমো ভার্নার একাধিক সুযোগ পেয়ে লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি।

১০ মিনিটে চেলসির ভার্নার বক্সের ভিতরে বল পেয়ে শট নিতে পারেননি। ৪ মিনিট পরই ভার্নারের আরও একটি শট গোলকিপার মোরালেস তালুবন্দি করেন।

যদিও ম্যান সিটি ২৭ মিনিটে ভালো সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু ফোডেন ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি। ডিফেন্ডার রুডিগার ক্লিয়ার করেন।

৩৯ মিনিটে থিয়াগো সিলভা চোটের কারণে মাঠের বাইরে চলে যান। কিন্তু তাতেও চেলসির ডিফেন্স নড়বড়ে হয়নি। বরং ৪২ মিনিট এগিয়ে যায় ব্লুজ।

মধ্যমাঠ থেকে ম্যাসন মাউন্টের ডিফেন্সচেরা পাস থেকে কাই হাভার্জ আগুয়ান গোলকিপারকে কাটিয়ে দেখেশুনে বাঁ পায়ে জাল কাঁপান।

১-০ গোলে স্কোরলাইন রেখে বিরতির পর ম্যান সিটি ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করে। কিন্তু সফল হতে পারেনি। ৫৯ মিনিটে ডি ব্রইনে চোটের কারণে মাঠের বাইরে গেলে দল কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিছুক্ষণ পরই তাদের একটি পেনাল্টির দাবি অগ্রাহ্য হয়েছে।

৬৮ মিনিটে মাহরেজের ক্রসে লক্ষ্যে শট নেওয়ার আগেই ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করেন। ৭৩ মিনিটে চেলসি প্রতি আক্রমণে উঠে। বদলি পালিসিকের শট দূরের পোস্ট দিয়ে গেলে ব্যবধান বাড়ানো হয়নি।

শেষ পযন্ত কিছুটা পাল্টাপাল্টি আক্রমণ করে খেলা চললেও ম্যান সিটি গোল শোধ দিতে পারেনি। চেলসিও পারেনি ব্যবধান বাড়াতে। তাই তো রেফারির শেষ বাঁশি বাজতেই চেলসির খেলোয়াড় ও সমর্থকদের আনন্দ-উল্লাস ছিল দেখার মতোই। আর না হওয়ার কারণও নেই। ইউরোপ সেরা যে এখন টমাস টুখেলের চেলসি!

ম্যাচ শেষে গর্বিত চেলসি ম্যানেজার টুখেল বলেন, এই শিরোপাটা সবার সঙ্গে শেয়ার করতে পারাটা সত্যিই অসাধারণ। আমরা এটা জিততে পেরেছি। ওয়াও, আমি জানি না কী যে অনুভুতি হচ্ছে। আমি খুবই গর্বিত যে এখানে (চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে) টানা দ্বিতীয়বার এসেই জয় করে ফেললাম। অনুভূতিটা তাই একটু ভিন্নই।

খেলোয়াড়দের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, খেলোয়াড়রা খুবই আত্মবিশ্বাসী ছিল এটি জয় করার ব্যাপারে। আমরা চেয়েছিলাম তাদের (ম্যানসিটি) পায়ে পাথর তৈরি করে দিতে। খেলোয়াড়দের বলেছি বারবার- স্টেপ আপ, স্টেপ আপ। আরও সাহসের সঙ্গে এগিয়ে যাও।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.