ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট চায় বিএনপি

চলমান করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। শুক্রবার (২৮ মে) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ দাবি জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অনেকে মনে করেন করোনার ভয়াবহতা না কমলে গতানুগতিক বাজেট করে কোনো লাভ নেই। লক্ষ্য হওয়া উচিত আগামী ছয় মাসের জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট করা। আবার অনেকে মনে করে, অর্থনীতির অস্বাভাবিক সংকোচনে প্রচলিত বাজেট ব্যবস্থা থেকে সরে এসে আগামী তিন বছর মধ্য মেয়াদী পরিকল্পনার আলোকে বাজেট প্রণয়ন করতে হবে। বিদায়ী অর্থবছরে আমরাও এই দাবি করেছিলাম। কিন্তু সেই লক্ষ্য অর্জিত হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, একটি দেশের অর্থনীতি তখনই সত্যিকার অর্থে জনবান্ধব হয়ে ওঠে যখন সেখানে সুশাসন ও জবাবদিহিতামূলক সরকার জনগণের অবাধ নিরপেক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়। সুশাসন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের মূলমন্ত্র হচ্ছে মানুষের রাজনৈতিক অধিকার প্রয়োগের সর্বোত্তম পন্থা গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলা যা বর্তমানে সম্পূর্ণ রূপে অনুপস্থিত।’

আসন্ন বাজেট নিয়ে ২৪ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব। স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কৃষি খাতে জিডিপির ৫ শতাংশ বরাদ্দের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতকে বাজেটের সর্বাধিক তালিকায় রাখতে হবে। চলমান বৈশ্বিক মহামারি প্রতিরোধ ও করোনা চিকিৎসা দুইটিই সমানতালে চালিয়ে যাওয়ার জন্য সর্বোত্তম ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব আবদুস সাত্তার, বিএনপি নেত্রী শ্যামা ওবায়েদ, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিএনপি নেতা রিয়াজ উদ্দিন নসু, আবদুস সালাম আজাদ, শায়রুল করিব খান উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া শামসুজ্জামান দুদু, শওকত মাহমুদ, হারুন আল রশিদ, ইসমাইল জবিউল্লাহ, সুকোমল বড়ুয়া, শাহজাদা মিয়া, তাহসিনা রুশদীর লুনা, খন্দকার আবদুল মুক্তাদির, ফজলুল হক মিলন, মোস্তাক আহমেদ, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জয়ন্ত কুমার কুন্ডু প্রমুখ ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.