ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের খবর আসার দিনেই করোনার ব্যাপক অবনতি

করোনা মহামারির তাণ্ডবে টালমাটাল বিশ্ব। বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। এর মধ্যে গতমাসে দেশে হঠাৎ করেই করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুতে ব্যাপক উল্লম্ফন হয়। তবে বিগত বেশ কিছুদিন ধরে শনাক্ত কিছুটা কমেছে, একইসঙ্গে কমেছে মৃত্যুও। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু বেশ বেড়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে এক হাজার ৬৭৫ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত ৭ এপ্রিল করোনা রোগী শনাক্ত হয় সাত হাজার ৬২৬ জন। যা একদিনে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড।

আগের সাত দিনে দেশে যথাক্রমে ১৪৪১, ১৩৫৪, ১০২৮, ১৫০৪, ১৪৫৭, ১৬০৮ ও ১২৭২ জন রোগী শনাক্ত হয়।

সর্বশেষ তথ্য অনুসারে দেশে নভেল করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৯২ হাজার ১৯৬ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৬ হাজার ৬২৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আর পরীক্ষাকৃত এসব নমুনার ১০ দশমিক ০৮ শতাংশের মধ্যে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

এর আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে নমুনা পরীক্ষা করা হয় ১৭ হাজার ৬৮৩টি। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫৮ লাখ ৫৪ হাজার ৯১৯টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

আজ মঙ্গলবার (২৫ মে) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।


একনজরে দেশের করোনার চিত্র

নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন: ১৬৭৫ জন

মোট আক্রান্তের সংখ্যা: ৭৯২১৯৬ জন

২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে: ৪০ জনের

মোট মৃত্যু হয়েছে: ১২৪৪১ জনের

২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন: ১২৭৯ জন

মোট সুস্থ হয়েছেন: ৭৩২৮১০ জন


গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৪০ জন মারা গেছেন। ১৯ এপ্রিল করোনায় মারা যান ১১২ জন, যা এযাবতকালের সর্বোচ্চ মৃত্যু। এর আগে ১৮ এপ্রিল দেশে করোনায় মারা যান ১০২ জন। এছাড়া ২৫, ১৭ ও ১৬ এপ্রিল দেশে করোনায় মারা যান ১০১ জন।

গত সাত দিনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন যথাক্রমে ২৫, ২৮, ৩৮, ২৬, ৩৬, ৩৭ ও ৩০ জন।

সর্বশেষ তথ্য অনুসারে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৪৪১ জনে। মোট শনাক্তকৃত রোগীর বিপরীতে মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫৭ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও এক হাজার ২৭৯ জন সুস্থ হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা থেকে মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৩২ হাজার ৮১০ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৫০ শতাংশ।

এদিকে, আজ মঙ্গলবার (২৫ মে) বারডেম হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ মে ৪৫ বছর বয়সী এক রোগীর শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর গত ২৩ মে ৬০ বছর বয়সী আরেকজনের শরীরেও ছত্রাকজনিত রোগটি শনাক্ত হয়। এদের মধ্যে ৩ দিন আগে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.