যুক্তরাষ্ট্রে বসেই ঢাকার পানির দাম বাড়ালেন তাকসিম

করোনা মহামারির মধ্যেই আবাসিক ও বাণিজ্যিক পর্যায়ে প্রতি ইউনিট (১ হাজার লিটার) পানির দাম ৫ শতাংশ হারে বাড়িয়েছে ঢাকা ওয়াসা; যা আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে। সোমবার (২৪ মে) ওয়াসার বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনলাইনে যুক্ত হন সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান।

ওয়াসার বোর্ড সূত্র বলছে, পানির দাম বাড়াতে শুরু থেকেই তাকসিম সবচেয়ে তৎপর ছিলেন। ওয়াসায় যেকোনো সিদ্ধান্তে তার অবস্থানই প্রাধান্য পায়।

তাকসিম এ খান গত মাস এপ্রিলে তিন মাসের ছুটিতে যুক্তরাষ্ট্রে যান। সেখানে থেকে তিনি ওয়াসার নীতিনির্ধারণী বিভিন্ন বিষয়ে ফোন ও অনলাইনে তদারকি করছেন।

সূত্র জানিয়েছে, নতুন দর অনুযায়ী আবাসিক গ্রাহকদের প্রতি ১ হাজার লিটার পানির দাম দাঁড়াবে ১৫ টাকা ১৮ পয়সা। বর্তমানে ১ হাজার লিটার পানির দাম ১৪ টাকা ৪৬ পয়সা। নতুন দাম কার্যকর হলে বাণিজ্যিক সংযোগের ক্ষেত্রে প্রতি এক হাজার লিটার পানির দাম দিতে হবে ৪২ টাকা, যা আগে ছিল ৪০ টাকা।

গত মার্চে পানির দাম বাড়ানোর এ প্রস্তাব দিয়েছিলেন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান। কিন্তু ওই বোর্ড সভায় করোনাকালীন পানির দাম বাড়ানো নিয়ে সমালোচনার মুখ পড়লে সে সময় এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে ঢাকা ওয়াসা।

ওয়াসা বলছে, ঢাকা ওয়াসার এক হাজার লিটার পানির উৎপাদন খরচ ২৫ থেকে ২৮ টাকা। সে কারণে পানির মূল্যবৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এ ছাড়াও মূল্যস্ফীতি সমন্বয় করতেও মূল্য বৃদ্ধি করা দরকার। ওয়াসা আইন ১৯৯৬ এর ২২(২) ধারা অনুযায়ী ওয়াসা বোর্ড অনধিক ৫ শতাংশ হারে পানি ও পয়ঃঅভিকর সমন্বয় করতে পারে।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর গত ১৩ বছরে ১৩ বার পানির দাম বাড়ানো হয়। এবারের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে এই সময়ে মোট ১৪ বার পানির দাম বাড়বে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.