ছেলের সামনে বাবাকে হত্যা: এবার মনির ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মো. আউয়ালের নির্দেশে রাজধানীর পল্লবী এলাকায় ছেলের সামনে সাহিনুদ্দীন নামে একজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার অন্যতম আসামি মনির ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।

আজ রোববার (২৩ মে) সকালে গোয়েন্দা মিরপুর জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে পল্লবীর সাগুফতা হাউজিং এলাকায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মিরপুর বিভাগের একটি জোনাল টিমের সঙ্গে বন্ধুকযুদ্ধে গুরুতর আহত হয় মো. মনির। পরে তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পুলিশের দুজন সদস্য আহত হয়েছেন।

পল্লবী থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) বুলবুল বলেন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমাদের একটি টিম এখন অবস্থান করছে। নিহতের সুরতহাল তৈরি করছে। বন্দুকযুদ্ধের বিষয়ে বিস্তারিত আরও পরে জানানো হবে বলেও তিনি জানান।

তিনি আরও বলেন, নিহত মনির পল্লবীর চাঞ্চল্যকর শাহীন উদ্দিন হত্যা মামলার ৬ নম্বর আসামি। হত্যাকাণ্ডের সে সরাসরি জড়িত ছিল।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (২০ মে) দিবাগত রাতে পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় ওই মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচ নম্বর আসামি মো. মানিক র‍্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।

বৃহস্পতিবার (২০ মে) ভোরে ভৈরবে অভিযান চালিয়ে হত্যাকণ্ডের নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী আউয়ালকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

খুনের নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক এমপি আউয়ালকে গ্রেফতারের পর র‌্যাব জানায়, মূলত জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়। ঘটনার চার থেকে পাঁচ দিন আগে দুপুর বেলা আউয়ালের কলাবাগান অফিসে তাহের ও সুমন হত্যাকাণ্ডের চূড়ান্ত পরিকল্পনা করেন। মাঠ পর্যায়ে হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়নের জন্য সুমনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সুমনের নেতৃত্বে প্রায় ১০ থেকে ১২ জন সক্রিয়ভাবে কিলিং মিশনে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া সহযোগী হিসেবে আরো বেশ কয়েকজন যুক্ত ছিলেন।

ঘটনার দিন ১৬ মে বিকেলে পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা ঘটনাস্থলে জড়ো হন। তারপর ভিকটিম সাহিন সন্তানসহ ঘটনাস্থলে এলে সুমন, মনির, মানিক, হাসান, ইকবাল ও মুরাদসহ ১০ থেকে ১২ জন এলোপাথাড়িভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পর্যায়ক্রমে সাহিনকে আঘাত করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। হত্যাকাণ্ডের পর সুমন আউয়ালকে মোবাইলে ফোন করে জানান ‘স্যার ফিনিশ’। পরে জড়িতরা দেশের বিভিন্ন স্থানে গা ঢাকা দেন।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.