মধ্যরাতে সংসদ ভেঙে দিলেন নেপালের প্রেসিডেন্ট

নেপালে জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি। করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মধ্যেই হঠাৎ করে নির্বাচনের ঘোষণা ও সংসদ ভেঙে দেওয়ায় রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে দেশটিতে।

শুক্রবার (২১ মে) মধ্যরাতে সংসদ ভেঙে দেন বিদ্যা দেবী ভান্ডারি। এর আগে কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি ক্যাবিনেট সংসদ ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। ফলে ফের নির্বাচনের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেন প্রেসিডেন্ট।

প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবীর পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, আগামী ১২ নভেম্বরের মধ্যে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপ ও ১৯ নভেম্বরের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন সম্পন্ন করার আদেশ দিয়ে হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভ ভেঙে দিলেন প্রেসিডেন্ট।

এতে আরও বলা হয়, তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী কে. পি. শর্মা অলির নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার সুপারিশক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে অলির সংসদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে ঘিরে নেপালে সপ্তাহব্যাপী বিক্ষোভ-সহিংসতার ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্ট তার এই সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক বলে রায় দেন।

তবে প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারির আকস্মিক এই ঘোষণার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি।

এদিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সঙ্গে লড়াই করছেন নেপালবাসী। দেশটিতে প্রতিদিন গড়ে আট হাজারের বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছেন।

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই পার্লামেন্টে আস্থাভোটে পরাজিত হন ওলি। তবে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি বিরোধীরা। প্রেসিডেন্টের দেওয়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেরবাহাদুর দেউবার নেতৃত্বে নেপালি কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হয়। ফলে ফের ওলিকেই কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকার নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভান্ডারি।

সূত্র: রয়টার্স।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.