লাশের বস্তার সূত্র ধরে খুনের রহস্য উদঘাটন!

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের উদনা ছড়ার একটি ব্রিজের নিচ থেকে উদ্ধার হওয়া বস্তাবন্দি নারীর মরদেহের পরিচয় মিলেছে। এ ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে তার স্বামী মসুদ মিয়াকে (৬২) আটক করা হয়েছে। মসুদ মিয়া শ্রীমঙ্গল আশিদ্রোন ইউনিয়নের রামনগরের বাসিন্দা।

আজ বুধবার (১৯ মে) বিকেলে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপারের কনফারেন্স হলে এক প্রেস বিফিংয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বস্তাবন্দি লাশের বস্তার সূত্রধরে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ খুঁজে পায় তার স্বামীকে। আটকের পর তিনি স্বীকার করেন তার চতুর্থ স্ত্রী ডলি আক্তারের লাশ বস্তায় ভরে সিন্দুরখান উদনাছড়ায় ফেলে আসেন।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিক তদন্তে তারা জানাতে পেরেছেন ওড়না দিয়ে গলা পেচিয়ে রোববার শেষ রাতে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়। এর একদিন পর সোমবার রাত ৯টার দিকে একটি সিএনজি যোগে নিয়ে গিয়ে উদনার পাড়ে লাশ ফেলে আসেন। মঙ্গলবার সকালে সেখান থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

নিহত ডলি আক্তারের বাবার বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার বদনপুরে। তার পিতার নাম ফেলু মন্ডল। ৭/৮ মাস আগে মসুদ মিয়া ডলিকে বিয়ে করেন।

শ্রীমঙ্গল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছালেক জানান, উদ্ধার হওয়া বস্তায় লিখা ছিল ‘অনিক শ্রীমঙ্গল’। পরে শ্রীমঙ্গলের অনিককে খুঁজে বের করেন তারা। অনিক মিয়া বস্তা ক্রয়কারী মসুদের সন্ধান দেন। পরে যে সিএনজি করে লাশ উদনার পাড় নিয়ে যাওয়া হয় সেই সিএনজি চালক বেলাল মিয়াকে খুঁজে বের করে পুলিশ। এরপর হত্যাকারীর সন্ধান মেলে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.