হামলাকে ‘বৈধতা দিতে’ কোরআনের সুরা ব্যবহার করছে ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ২১৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৬১টি শিশু রয়েছে।

এ বর্বর হামলাকে বৈধতা দিতে পবিত্র কোরআনের সুরা ফিলের আয়াত ব্যবহার করছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনিদের ওপর বৃষ্টির মত বোমাবর্ষণ করছে ইসরায়েলি বিমান-এমন ছবিতে যুক্ত করা হয়েছে সুরা ফিল।

ইসরায়েলের আরবি ভাষার অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টের এমন একটি পোস্টের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন মুসলিমরা। ওই টুইটার পোস্টে গাজায় চলমান বোমাবর্ষণকে ন্যায্যতা দিতে কোরআন শরিফের একটি সুরা তুলে ধরা হয়েছে।

মিডল ইস্ট আই তাদের খবরে উল্লেখ করেছে, এর মধ্য দিয়ে কোরআনের আয়াতে মক্কার কাবাকে রক্ষা করা পাখির ঝাঁক হিসেবে নিজেদের দাবি করেছে ইসরায়েল। আর যুদ্ধের হাতি হিসেবে হামাসকে তুলে ধরেছে। ইসরায়েলের কর্তৃপক্ষ এমন টুইট করে বিশ্বের ১শ ৮০ কোটি মুসলিমকে অপমান করেছে।

ফিল অর্থ হলো হাতি। সুরা ফিলে প্রাক-ইসলামিক যুগে আরব ইতিহাসের একটি অধ্যায় তুলে ধরা হয়েছে। এ সুরায় হস্তিবাহিনীর ঘটনা সংক্ষেপে বর্ণিত হয়েছে। যুদ্ধের হাতি নিয়ে একটি বাহিনী মক্কার কাবা আক্রমণ করতে গেলে পাখির ঝাঁক পাথর ফেলে তাদের পরাজিত করে।

মঙ্গলবার (১৮ মে) সকালে ইসরায়েলের আরবি ভাষার অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে টুইট বার্তাটি প্রকাশ করা হয়। এতে কোরআনের ১০৫তম সুরা ফিলের আয়াতের সঙ্গে ইসরায়েলি বিমান হামলায় একটি ভবন থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলি ওঠা একটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।

ফলো-আপ টুইটার পোস্টে বলা হয়, ‘এটি হলো মিথ্যাবাদীতার বিরুদ্ধে ন্যায়ের পথে থাকা মানুষদের সমর্থনে ঈশ্বরের সহযোগিতা করার সামর্থ্যের একটি নমুনা। বিশেষ করে যখন ইরানের হয়ে কাজ করা হামাস এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা ছড়াতে চায়। আইডিএফ (ইসরাইলি সেনাবাহিনী) গাজায় হামাস সন্ত্রাসীদের লক্ষ্যবস্তু করেছে।’

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.