যাত্রীদের চাপে শিমুলিয়া থেকে ছেড়ে গেল তিনটি ফেরি

মাঝরাত থেকে ফেরি বন্ধের সিদ্ধান্তের পরেও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে দক্ষিণবঙ্গের ঘরমুখী যাত্রীদের ঢল নেমেছে। আজ শনিবার (০৮ মে) ভোর থেকে বিভিন্ন যানবাহনে করে ঘাট এলাকায় জড়ো হতে থাকেন হাজার হাজার মানুষ। যাত্রীর চাপে হিমশিম খেতে হচ্ছে ঘাট কর্তৃপক্ষকে। এ অবস্থায় শিমুলিয়া ঘাট থেকে তিনটি ফেরি মাদারীপুরের শিবচর অভিমুখে ছাড়তে দেখা গেছে।

ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে, ফেরি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হলেও ঘাটে যাত্রীদের প্রচণ্ড চাপ। ফলে যাত্রীদের রোষানলে পড়ে ফেরি চালাতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও আজ শনিবার (০৮ মে) সকাল ৯টা ৫ মিনিটের দিকে ফেরি কুঞ্জলতা ছেড়ে যায় শিমুলিয়া ঘাট থেকে। এরপর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রো-রো ফেরি এনায়েতপুরী ও পৌনে একটার দিকে শিমুলিয়া ঘাট ছেড়ে বাংলাবাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় রো-রো ফেরি শাহপরান।

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম শফিকুল ইসলাম দাবি করেন, অ্যাম্বুলেন্স বহন করে ফেরিগুলো শিমুলিয়া ঘাট ছেড়ে গেছে। তবে অ্যাম্বুলেন্সের রোগী ও লাশ বহনকারী কিছু যাত্রী তো রয়েছে। তিনি বলেন, এর বেশি কিছু বলতে পারবো না।

এদিকে, শিমুলিয়া ঘাটে ঘরমুখী যাত্রীর চাপ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। ভোর থেকেই দক্ষিণবঙ্গের যাত্রী সাধারণ শিমুলিয়া ঘাটে ভিড় করতে থাকেন। ভোর থেকেই ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন তারা।

এদের মধ্যে অনেকেই ফেরির অপেক্ষায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাটে অবস্থান করতে থাকেন। আবার কেউ কেউ ঢাকায় ফিরে যেতে বাধ্য হন। তবে সকাল ৯টার দিকে ফেরি কুঞ্জলতা অ্যাম্বুলেন্স বোঝাই করে বাংলাবাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিলে তাতে শত শত যাত্রীকে পদ্মা পাড়ি দিতে দেখা গেছে।

বেলা সাড়ে ১২টার দিকেও রো-রো ফেরি এনায়েতপুরীতে ঘরমুখী যাত্রীর গাদাগাদি অবস্থান দেখা গেছে। মাত্র ১৫ মিনিটের ব্যবধানে পৌনে একটায় ফেরি শাহপরান ছেড়ে গেলে তাতেও শত শত যাত্রীর উপস্থিতি দেখা গেছে।

এদিকে এই নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার ঘরমুখো মানুষ। আজ সকাল থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় ভিড় করছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীর চাপও বাড়ছে। বিআইডব্লিউটিএ সকাল থেকে ঘাট এলাকায় মাইকিং করলেও যাত্রীরা ঘাট থেকে সরছেন না।

শিমুলিয়া ঘাটের উপমহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, এই মুহূর্তে ঘাটে যাত্রীদের ও যানবাহনের চাপ রয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী ফেরি বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সের জন্য একটি ফেরি সচল আছে। ঘাটের যাত্রীদের কোনোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। ঘাটের পরিস্থিতি কীভাবে স্বাভাবিক করা যায়, সেই লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিআইডব্লিউটিসির লোকজন সভায় বসেছেন।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.