স্লোগান লিখে বিনামূল্যে ওয়ালটন এসি পাওয়ার সুযোগ

ওয়ালটন এয়ার কন্ডিশনার নিয়ে স্লোগান বা ট্যাগলাইন লিখে ফ্রি এসিসহ আকর্ষণীয় পুরস্কার পেতে পারেন যে কেউ। সম্প্রতি ‘ক্রিয়েটিভিটি চ্যালেঞ্জ সিজন-১’ শীর্ষক ওই ক্যাম্পেইনটি চালু করেছে বাংলাদেশি সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটন। এর আওতায় প্রথম রাউন্ডে সেরা ১০টি ট্যাগলাইন বা স্লোগান বাছাই করা হবে। তাদের মধ্য থেকে সেরা তিন ট্যাগলাইন বা স্লোগান লেখক যথাক্রমে ২, ১.৫ ও ১ টনের এসি পাবেন। বাকি ৭ জন পাবেন একটি করে WBL-10GX65 মডেলের ওয়ালটন ব্লেন্ডার। প্রতিযোগিতা চলবে ৩১ মে পর্যন্ত।

ওয়ালটন এসির ব্র্যান্ড ম্যানেজার খলিলুর রহমান জানান, পুরস্কার পেতে অংশগ্রহণকারীরা তাদের ট্যাগলাইন কিংবা স্লোগানগুলো গুগল ফর্মের মাধ্যমে, ওয়ালটন এসির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে কমেন্ট বা মেসেজের মাধ্যমে জমা দিতে পারবেন। এরপর ওয়ালটন স্মার্ট এসি’র ক্রিয়েটিভিটি চ্যালেঞ্জের ফটো ব্যানারটি নিজের ফেসবুকের টাইমলাইনে শেয়ার করতে হবে। একই ট্যাগলাইন বা স্লোগানের জন্য একাধিক অংশগ্রহণকারীর ক্ষেত্রে প্রথম জমা প্রদানকারীই প্রাধান্য পাবে। গুগল ফর্মটি পাওয়া যাবে t.ly/tu7Q- এই লিংকে। প্রতিযোগিতার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ফোন করা যাবে ১৬২৬৭ অথবা ০৯৬১২৩১৬২৬৭ নম্বরে।

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হুমায়ূন কবীর বলেন, করোনাকালে অধিকাংশ মানুষ বাসায় আছেন। মহামারির এই অলস সময়ে ওয়ালটন এসি বিভাগ তাদেরকে সৃজনশীল কাজে সম্পৃক্ততার মাধ্যমে কর্মদক্ষতা ও মেধা বিকাশে কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় এই ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সবার সৃজন শক্তির বিকাশ ঘটবে।

তিনি জানান, ট্যাগলাইন বা স্লোগান বাংলা অথবা ইংরেজি যেকোনো ভাষায় হতে পারবে। তবে তা হতে হবে ওয়ালটন এসি নিয়ে। এ ক্ষেত্রে শালীন বা মার্জিত ভাষা ব্যবহার করতে হবে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের বা পণ্যের তথ্যের ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি হয়, এমন শব্দের প্রয়োগ থাকতে হবে।

এর পাশাপাশি এসি ক্রেতাদের নানান সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। দেশব্যাপী চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-১০ এর আওতায় ওয়ালটন এসির ক্রেতারা পাচ্ছেন ২০০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশব্যাক, ফ্রি ইন্সটলেশন ও ফ্রি হোম ডেলিভারির সুবিধা। এছাড়া নির্দিষ্ট মডেলের এসি ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ে কেনার সুযোগ রয়েছে। আছে জিরো ইন্টারেস্টে ১ বছরের ইএমআই এবং ৩৬ মাস পর্যন্ত সহজ কিস্তি সুবিধা।

এছাড়া চলছে ‘এসি এক্সচেঞ্জ অফার’। এর আওতায় যে কোনো ব্র্যান্ডের পুরনো এসি জমা দিয়ে গ্রাহক তার পছন্দকৃত নতুন ওয়ালটন এসির মূল্য থেকে ২৫ শতাংশ ছাড় পাচ্ছেন। ক্রেতারা ঘরে বসে ফোন করলেই কাছাকাছি প্লাজা অথবা ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম থেকে ক্যাশ অন ডেলিভারি সুবিধায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ওয়ালটন পণ্য পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

কর্মকর্তারা জানান, করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে গৃহকে সুরক্ষিত রাখতে ডুয়েল ডিফেন্ডার, আয়োনাইজার, ইউভি (আল্ট্রা ভায়োলেট) কেয়ার প্রযুক্তি সম্বলিত এসি বাজারে ছেড়েছে ওয়ালটন। ওয়ালটনের ইনভার্না এসির ইকো-মুডে প্রতি ঘণ্টায় বিদ্যুৎ খরচ পড়ছে মাত্র ২ টাকা ৮৮ পয়সা। যা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বা বুয়েট কর্তৃক সার্টিফাইড। রয়েছে মুঠোফোনে নিয়ন্ত্রণযোগ্য স্মার্ট এসি। এছাড়া সম্প্রতি ওশেনাস সিরিজের ভয়েস কন্ট্রোল এসি বাজারে ছেড়েছে ওয়ালটন। রিমোটের পাশাপাশি কথা বলেই ওই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, হাসপাতাল, হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও কনফারেন্স হলের মতো মাঝারি স্থাপনার জন্য ৪ ও ৫ টনের ক্যাসেট এবং সিলিং টাইপ এসি উৎপাদন ও বাজারজাত করছে ওয়ালটন। বড় স্থাপনার জন্য ওয়ালটনের আছে ভেরিয়্যাবল রেফ্রিজারেন্ট ফ্লো বা ভিআরএফ এবং চিলার। আর আবাসিক ব্যবহারের জন্য রয়েছে অসংখ্য মডেলের ১, ১.৫ ও ২ টনের স্প্লিট টাইপ এসি। এসব এসিতে এক বছরের রিপ্লেসমেন্টের পাশাপাশি কমপ্রেসরে ১০ বছরের গ্যারান্টি দেওয়া হচ্ছে।

দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তম সেবা দিতে আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় সারা দেশে ওয়ালটনের রয়েছে ৭৬টি সার্ভিস সেন্টার। ওয়ালটনের দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলী এবং টেকনিশিয়ান ও সার্ভিস এক্সপার্টগণ প্রতি ১০০ দিন পর পর এসির ক্রেতাদের ফ্রি সার্ভিস দিচ্ছেন।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.