ভোজ্যতেলের বাড়ানো মূল্যে ৩ টাকা ছাড় ঘোষণা

আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে ঈদের আগে দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এইবার সেই দাম থেকে ঈদ পর্যন্ত ভোজ্যতেলের দাম প্রতি লিটারে তিন টাকা ছাড় দিয়ে বিক্রি করবে পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলো।

আজ সোমবার (০৩ মে) এ ঘোষণা দিয়েছে মিল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি জানায়, বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় পবিত্র রমজান ও করোনা মহামারির এই সময়ে ভোক্তাদের ক্রয় ক্ষমতা বিবেচনায় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে ঈদুল ফিতর পর্যন্ত প্রতি লিটারে তিন টাকা ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বাড়লে বা কমলে তখন তাৎক্ষণিকভাবে সমন্বয় করার কথা বলেছে সংগঠনটি।

নতুন করে মূল্য ছাড় দেওয়ার ঘোষণা অনুযায়ী, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম হবে ১৪১ টাকা। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১১৯ টাকা ও পাম সুপার তেল ১১০ টাকায় কিনতে পারবেন ভোক্তারা। বর্তমানে বাজারে বর্ধিত মূল্যে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৪৪ টাকা ও খোলা সয়াবিন ১২২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর সুপার পাম তেলের লিটার ১১৩ টাকা। গত ১৯ এপ্রিল মিল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে নতুন বর্ধিত দর জানিয়েছিল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শীর্ষস্থানীয় ভোজ্যতেল বিপণনকারী সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, আমরা রোজা ও ঈদ উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে ভোজ্যতেলের দাম কমিয়েছি। ভোজ্যতেলের দাম প্রতি লিটারে ৩ টাকা কমানো হয়েছে। আজ থেকেই এটা কার্যকর হবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে নিয়মিতভাবে দেশীয় উৎপাদন, আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি, আমদানি পরিস্থিতি এবং স্থানীয় বাজার পরিস্থিতি সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে অতিমাত্রায় মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে গড়ে লিটার প্রতি ৫ টাকা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল।

এই ৫ টাকা দাম বৃদ্ধির বিষয়টি গত ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানায় সংগঠনটি। ইতোমধ্যে নতুন দরের তেল বাজারে বিক্রি শুরু হয়ে গেছে।

অ্যাসোসিয়েশন জানায়, ২০১৪ সাল থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত ভোজ্যতেলের বাজার মূল্য মোটামুটি স্থিতিশীল ছিল। এরপর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামে ঊর্ধ্বগতি। দেশের বাজারের ভোজ্যতেলের চাহিদার ৯৫ ভাগের বেশি আমদানির মাধ্যমে পূরণ হয়। সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার কারণে স্থানীয় বাজারে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে যে পরিমাণ মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে স্থানীয় বাজারে সে পরিমাণ বৃদ্ধি পায়নি বলে দাবি তেল পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলোর।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.