করোনার নিম্নমুখী সংক্রমণে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

করোনার নিম্নমুখী সংক্রমণে আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই। ভারতের মতো দেশে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কার অতি সংক্রমণে বিপর্যস্ত বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতে করোনার ভয়াবহ অবস্থা হয়েছে। ভারত থেকে এ ভাইরাস আমাদের দেশেও চলে আসতে পারে। এ কারণে আগামীতে স্বাস্থ্যখাতের সব পর্যায়ের কর্মীদের সতর্কতার সঙ্গে সেবা দেওয়া অব্যাহত রাখতে হবে।

আজ রোববার (০২ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ৫০ বছর পূর্তির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার প্রথম ঢেউ আমরা সফলভাবে সামলিয়ে নিয়েছিলাম। মানুষের স্বাস্থ্যবিধিতে ব্যাপক অনীহা ও অবহেলার কারণে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এসেছে। এখন দ্বিতীয় ঢেউ কিছুটা কমে যাচ্ছে। তবে প্রথম ঢেউয়ের পর যেভাবে মানুষ স্বাস্থ্যবিধির প্রতি উদাসীন হয়েছিল সেই ঘটনা আবার ঘটতে দিলে খুব দ্রুতই দেশে তৃতীয় ঢেউ চলে আসতে পারে। তাই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, মানুষ যুদ্ধ করার জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। কিন্তু মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেবার জন্য মানুষ খুব বেশি ভাবেনি এবং স্বাস্থ্যখাতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ করতে তেমন কোনো পরিকল্পনাও নেয়নি। এবারের করোনা মহামারিতে বিশ্ব বুঝতে পেরেছে স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগ কতোটা জরুরি একটি বিষয়।

জাহিদ মালেক বলেন, করোনা দেখিয়ে দিচ্ছে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ছাড়া এ পৃথিবীতে মানুষ বেশি দিন বাঁচতে পারবে না। আমাদের দেশেও স্বাস্থ্যসেবা খাতে বাজেট অনেক কম। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতেই হবে। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যখাতে বাজেট বাড়ানোসহ বিনিয়োগও বাড়াতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সেনাল, স্বাচিপের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কমিউনিটি ক্লিনিকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীসহ অন্যান্যরা।

সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.