মুনিয়ার মৃত্যু: হুইপপুত্র শারুনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

রাজধানীর গুলশানে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার ‘আত্মহত্যার’ ঘটনায় জাতীয় সংসদের হুইপ ও চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলার আবেদন করা হয়েছে।

আজ রোববার (০২ মে) ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভুঁইয়ার আদালতে এ আবেদন করেন মুনিয়ার ভাই আশিকুর রহমান।

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশে উল্লেখ করেন, মুনিয়ার ‘আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে’ গুলশান থানায় একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন। এ মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত হত্যা মামলার আবেদনটি স্থগিত থাকবে।

গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মুনিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওইদিন রাতেই মুনিয়ার বড় বোন বাদী হয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরকে একমাত্র আসামি করে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করেন।

এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া শারুন চৌধুরীর সঙ্গে মুনিয়ার কিছু কথোপকথনের স্ক্রিনশটের সূত্র ধরে গত ২৭ এপ্রিল বিকেলে একটি সূত্র তার কাছে কিছু তথ্য জানতে চায়।

এ বিষয়ে শারুন গণমাধ্যমকে ওই সূত্রের ব্যাপারে কিছু না বললেও এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, একটি সূত্র মুনিয়ার সঙ্গে কথোপকথনের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে জানতে চেয়েছে, তিনি মুনিয়াকে চেনেন কি না? শারুন জানিয়েছেন, মুনিয়ার সঙ্গে তার পরিচয় ছিল। গত বছর সে ফেসবুকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে।

তবে ফেসবুকে তার সঙ্গে কথোপকথনের যে স্ক্রিনশট ছড়ানো হচ্ছে সেগুলো মিথ্যা দাবি করে শারুন বলেন, সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ে এই কথোপকথনগুলোর ফরেনসিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা দরকার।

এদিকে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলামের আদালত সায়েম সোবহান আনভীরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন। তিনি যেন দেশত্যাগ করতে না পারেন সে বিষয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে তার আগেই দেশ ছেড়ে দুবাই পাড়ি জমিয়েছেন অভিযুক্ত সায়েম সোবহান আনভীর।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.