মুশফিক-মুমিনুল-লিটনকে হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ

শুরুটা ভালোই ছিল। তবে হঠাৎই যেন সবকিছু ওলট-পালট হয়ে গেল বাংলাদেশের। তৃতীয় সেশনের শুরুতে অধিনায়ক মুমিনুল হক ও উইকেটরক্ষক লিটন দাশকে হারিয়ে বিপদে পড়ে গেছে সফরকারীরা।

এর আগে দ্বিতীয় সেশনের চা বিরতিতে যাওয়ার আগে মুশফিকুর রহিমকে হারায় বাংলাদেশ। ফিফটি থেকে ১০ রান দূরে থাকতে শ্রীলঙ্কার হয়ে অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা প্রবীণ জয়াবিক্রমের তৃতীয় শিকার হিসেবে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ার আগে ৬২ বলে ৭ চারে ৪০ রান করেন মুশফিক। আর মুমিনুলের সঙ্গে ১১১ বলে গড়েন ৬৩ রানের জুটি।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রথম ইনিংস শুরু করে ৭০.৩ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৩০ রান করেছে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ (৬) ও তাইজুল ইসলাম (০)। বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে আছে ২৬৩ রানে। শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে ৭ উইকেটে ৪৯৩ রান নিয়ে। ফলোঅন এড়াতে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ২৯৪ রান।

ব্যাটিংয়ে শুরুটা দুর্দান্ত হলেও মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতিতে যাওয়ার আগেই টপ-অর্ডারের ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ওপেনার সাইফ হাসানের (২৫) বিদায়ের পর শূন্য হাতে সাজঘরে ফেরেন শান্ত। সফরে এই নিয়ে টানা দুই ইনিংসে রানের খাতা খোলার আগে বিদায় নিলেন তিনি।

এরপর দুর্ভাগ্যের শিকার হয়ে ফের নার্ভাস নাইনটিতে বিদায় নেন তামিম ইকবাল। শ্রীলঙ্কা সফরে পাওয়া টানা তৃতীয় ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে নিয়ে যেতে পারেননি তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ১৫০ বলে ১২ চারে ৯২ রান করেন তামিম। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে এটি তার টানা চতুর্থ ফিফটি। এই সফরের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে দুই টেস্ট সিরিজের শেষ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসে তামিমের রান ৯০ ও ৭৪*। লঙ্কানদের বিপক্ষে এই ৯২ রানই তার সর্বোচ্চ স্কোর।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.