টিকা রফতানিতে ভারতের না, বাংলাদেশে উৎপাদনের প্রস্তাব

করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় এখনই টিকা দিতে পারছে না ভারত। তবে যৌথ উদ্যোগে টিকা উৎপাদনের প্রস্তাব দিয়েছে দেশটি।

প্রাপ্য টিকা চেয়ে বাংলাদেশের পাঠানো চিঠির জবাবে ভারত গতকাল শনিবার (২৪ এপ্রিল) যে কূটনীতিক পত্র পাঠিয়েছে, তাতেও টিকা প্রাপ্তির অনিশ্চয়তা দূর হয়নি। বরং ভারত বাংলাদেশকে টিকা রফতানি আপাতত স্থগিত করারই ইঙ্গিত দিয়েছে।

ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন থেকে এ সংক্রান্ত একটি নোট ভারবাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। নোট ভারবালে বলা হয়, ভারত এখনই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকা টিকা বাংলাদেশে দিতে পারছে না। সে কারণে ভারত বায়োটেক উদ্ভাবিত কোভ্যাক্সিনের যৌথ উৎপাদনে বাংলাদেশকে প্রস্তাব দিয়েছে দেশটি।

ভারতে এখন কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। এ টিকার ৭৮ শতাংশ কার্যকর বলে জানিয়েছে ভারত বায়োটেক।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস গণমাধ্যমকে বলেন, সেরামের টিকার পরের চালান পেতে ভারতের কাছে গত সপ্তাহে বাংলাদেশ একটি চিঠি পাঠিয়েছিল। শনিবার ভারত ওই চিঠির জবাব দিয়েছে। এখনই যে তারা টিকা রফতানি করতে পারছে না, সেই ইঙ্গিত চিঠিতে রয়েছে।

মাশফি বিনতে শামস আরও জানান, টিকা রফতানি বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে বেশ কিছুদিন ধরে কথা হচ্ছে। তারা বারবার চুক্তি অনুযায়ী টিকা দেওয়ার কথা বলছে। তবে কবে সেটা দেবে, সেটা জানাচ্ছে না। যদিও বাংলাদেশের জন্য লোকজনকে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দিতে হলে টিকা কবে আসবে, সেই সময়টাও জানা জরুরি।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পেতে গত বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশ, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মার মধ্যে ত্রিপক্ষীয় একটি চুক্তি সই হয়েছিল। ত্রিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট ৩ কোটি ডোজের মধ্যে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৭০ লাখ টিকা দিয়েছে বাংলাদেশকে। প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে টিকা দেওয়ার কথা থাকলেও এরপর বাংলাদেশে আর কোনো টিকার চালান আসেনি। এ বিষয়ে এপ্রিলের ১৮ তারিখ বাংলাদেশে টিকা সরবরাহকারী বেক্সিমকো ফার্মা চিঠি দিয়ে সরকারকে বলেছে, সরকার যেন টিকার জন্য ভারত সরকারকে সর্বাত্মকভাবে অনুরোধ করে। এর পরদিন ১৯ এপ্রিল টিকা সরবরাহের অনুরোধ জানিয়ে বাংলাদেশ সরকার চিঠি দেয় ভারতকে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.