করোনায় বিপর্যস্ত ভারত: সংক্রমণ-মৃত্যুর নতুন বিশ্বরেকর্ড

করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে বর্তমানে বিশ্বে সবচেয়ে বিপর্যস্ত অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে প্রতিদিনই করোনা ভাইরাসে সংক্রমণ ও মৃত্যুতে রেকর্ড হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৬২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সংক্রমিত হয়েছে ৩ লাখ ৪৬ হাজার জন। আগের দিনের তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ ও মৃত্যু দুইই বেড়েছে।

এর আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ২ হাজার ২৬৩ জন করোনায় মারা যান। সংক্রমিত হন ৩ লাখ ৩২ হাজার ৭৩০ জন। ভারতে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ৬৬ লাখেরও বেশি মানুষ।

এদিকে, এই পরিস্থিতিতে ভারতের হাসপাতালগুলোতে দেখা দিয়েছে তীব্র অক্সিজেন সঙ্কট। হাসপাতালগুলো থেকে রোগী ও তার স্বজনদের এসএমএস করে জানানো হচ্ছে অক্সিজেন ও বেড সঙ্কটের কথা।

একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে দিল্লি ও মহারাষ্ট্রে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মহারাষ্ট্রে ৭৭৩ জন এবং দিল্লিতে ৩৪৮ জন মারা গেছেন।

করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে শুক্রবার বৈঠকে বসেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি বলেন, এক প্রদেশ থেকে আরেক প্রদেশে যাওয়ার সময় অক্সিজেনবাহী ট্যাংকারগুলোকে যাতে আটকানো না হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাসপাতালে শয্যা, অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ওষুধের সংকটের কথা জানিয়ে পোস্ট দিচ্ছেন করোনায় আক্রান্তদের পরিবার।

এদিকে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেছেন, দিল্লিতে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা না থাকলে কি এখানকার মানুষ অক্সিজেন পাবেন না? তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জানতে চান দিল্লিতে কবে অক্সিজেন সরবরাহের বন্দোবস্ত হবে।

ভারতে করোনার সংক্রমণ মহারাষ্ট্র, কেরালা, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশে বেশি। উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা ও রাজধানী নয়াদিল্লির সংক্রমণ পরিস্থিতিও অবনতিশীল।

করোনা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতির মুখে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে রাত্রিকালীন কারফিউসহ বিভিন্ন কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.