লকডাউন শিথিলের খবরে ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত লকডাউন শিথিল হচ্ছে। চলমান বিধিনিষেধের সময়সীমা (২৮ এপ্রিল) পার হওয়ার পর নতুন করে এই কঠোর বিধিনিষেধ থাকছে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধীরে ধীরে সবকিছু খুলে দেওয়া হবে। সরকারি-বেসরকারি অফিস সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া হবে। চালু হবে গণপরিবহনও।

এদিকে রোববার (২৫ এপ্রিল) সকাল থেকে শপিংমল ও দোকানপাট খুলে দেওয়ার ঘোষণার পর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। ফলে লকডাউনের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব না মেনেই ফেরি পারাপার হচ্ছেন যাত্রীরা।

আজ শনিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিসির) টিকিট কাউন্টারে ব্যক্তিগত গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স চালকদের অপেক্ষমাণ থেকে টিকিট কিনতে হয়। সেখান থেকে ফেরিঘাটের র‌্যাম থেকে সংযোগ সড়ক পর্যন্ত ঘণ্টা খানেক অপেক্ষা করে ফেরিতে উঠে এসব যানবাহন।

রাতে যশোর থেকে আসা প্রাইভেটকারের চালক সালাম সরদার গণমাধ্যমকে বলেন, রোববার ঢাকাসহ দেশের সকল স্থানে দোকানপাট খুলে দিবে। সেই ঘোষণার কারণে স্যারকে নিয়ে ঢাকায় যেতে হচ্ছে। এখন থেকে ঈদ পর্যন্ত দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ভিড় লেগেই থাকবে।

পাংশা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়া যাত্রী সুমন রহমান বলেন, দৌলতদিয়া ফেরিঘাট একটি ব্যস্ততম ফেরিঘাট। দেশের ২১ জেলার মানুষ এই নৌরুট ব্যবহার করে। লকডাউনের সময় তিনটি ফেরি চলাচলের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। গাদাগাদি করে ফেরিতে করে নৌরুট পার হতে হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল যাত্রীদের জন্য লঞ্চ চলাচলের ব্যবস্থা রাখা। সেটি হলে সামাজিক দূরত্ব কিছুটা মানা সম্ভব হতো।

বিআইডব্লিউটিসির পাটুরিয়া ঘাট শাখার বাণিজ্য বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, শপিংমল খোলার ঘোষণায় দৌলতদিয়া প্রান্তে ঢাকামুখী যাত্রী ও ছোট ছোট যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে তিনটি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করছি। যে কারণে ফেরিঘাট এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে। আজ জানা যাবে এ রুটে কয়টি ফেরি চলাচল করবে।

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম বলেন, দৌলতদিয়া প্রান্ত দিয়ে ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ রয়েছে। তারা গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য ঢাকায় যাচ্ছেন। মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের ফেরিতে যেতে দেওয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ৮ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়। বিধিনিষেধ প্রতিপালনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ১৩টি নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেই বিধিনিষেধের প্রথম ধাপের মেয়াদ বুধবার (২১ এপ্রিল) শেষ হওয়ার আগেই নতুন করে আরও এক সপ্তাহ এর মেয়াদ বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত করা হয়।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.