খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল: চিকিৎসক

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখন পর্যন্ত স্থিতিশীল আছে। পর্যায়ক্রমে তার শারীরিক অবস্থা ভালোর দিকে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ বি এম জাহিদ হোসেন।

আজ বুধবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) শ্বাসকষ্ট ও গলাব্যথা ছিল না, এখনও নেই। পালস্, স্যাচুরেশন ঠিক আছে। ডাক্তারি ভাষায়, তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।

বুধবার দুপুর দেড়টা পর্যন্ত তার শরীরের তাপমাত্রাও স্বাভাবিক ছিল। খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় বাকি যে আটজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাদের অবস্থাও ভালো বলে জানিয়েছেন এ চিকিৎসক।

গত রোববার রাতে চিকিৎসক টিমের প্রধান ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হাসপাতালের মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এফএম সিদ্দিকী বলেছিলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় খালেদা জিয়ার শরীরে জ্বর না এলে আমরা ধরে নেব তিনি শঙ্কামুক্ত। এবার চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা বলছেন, সেই কঠিন সময় পার করেছেন খালেদা জিয়া। তার করোনায় আক্রান্তের ১৪তম দিন ছিল মঙ্গলবার।

জাহিদ হোসেন বলেন, আগামী সপ্তাহে আবারও করোনা পরীক্ষা করার পরিকল্পনা আছে খালেদা জিয়ার। এখন চেয়ারপারসনের মেডিকেল বোর্ড কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান চিকিৎসকরা।

ডা. জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়ার বয়স বিবেচনায় তার স্বাস্থ্যের ক্লোজ মনিটরিং অব্যাহত থাকবে। এ মাস পুরোটাই করা হতে পারে। অনেকের তো করোনা নেগেটিভ হতে চার সপ্তাহও লেগে যায়। করোনার গতি-প্রকৃতি কোন দিকে যায়, তার প্রত্যেকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।

তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সার্বক্ষণিকভাবে চিকিৎসার খোঁজখবর রাখছেন। ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) চিকিৎসার ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সহধর্মিণী ডা. জোবাইদা রহমান সার্বক্ষণিক সমন্বয় করছেন। সুস্থতার জন্য খালেদা জিয়া দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন বলেও জানান ডা. জাহিদ।

গত ১০ এপ্রিল খালেদা জিয়ার নমুনা জমা দেওয়ার পরদিন তিনি করোনায় আক্রান্ত বলে জানানো হয়। মাঝে সিটি স্ক্যান করানোর জন্য তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। সিটি স্ক্যান রিপোর্টে বলা হয়েছিল, খালেদা জিয়ার ফুসফুস ন্যূনতম সংক্রমিত।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.