চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের আইডি কার্ড ব্যবহারের নির্দেশ

‘লকডাউন’ পরিস্থিতিতে জরুরি স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্সসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের আবশ্যিকভাবে আইডি কার্ড ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

আজ সোমবার (১৯ এপ্রিল) সকালে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলা করার নিমিত্তে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের আওতাধীন সব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালসমূহ (সকল পর্যায়ে) জনসাধারণের মাঝে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে চিকিৎসক ও নার্সসহ অন্যান্য সকল স্বাস্থ্যকর্মীদের লকডাউনের পরিস্থিতিতে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা/চিকিৎসা সেবাসহ অন্যান্য কার্যক্রমে জড়িত সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের দাফতরিক পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) আবশ্যিকভাবে ব্যবহার করার জন্য বলা হলো।’

এতে আরও বলা হয়েছে, ‘দাফতরিক কার্যক্রম এবং চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে যাতায়াতের সময় প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র প্রদর্শনের পরেও অনেকেই নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। জনগণের স্বাস্থ্যসেবা সুনিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে কর্মস্থলে যাতায়াতে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সহযোগিতা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।’

গত বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে লকডাউন কার্যকর করতে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এ জন্য ‘মুভমেন্ট পাস’ ছাড়া কাউকে বাড়ির বাইরে আসতে দেওয়া হবে না বলে জানায় পুলিশ। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, চিকিৎসকরা বিধি-নিষেধের বাইরে থাকবে। এর পরও অযথা হয়রানির শিকার হন চিকিৎসকরা। এনিয়ে সম্প্রতি একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

চিকিৎসক পরিচয় দেওয়ার পরও পুলিশের চেকপোস্টে হয়রানির শিকার কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের একজন চিকিৎসা কর্মকর্তা। নিজের ‘বিব্রতকর’ অভিজ্ঞতাটি ফেসবুকে শেয়ার করেন তিনি। একই অভিযোগ করেন আরেকজন চিকিৎসক। যিনি রাজধানীর পান্থপথের একটি হাসপাতালে মুন্সীগঞ্জ থেকে যাওয়ার পথে জরিমানার শিকার হন বলেও ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চিকিৎসক, নার্সসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের আইডি কার্ড ব্যবহারের নির্দেশনা এলো স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.