যেভাবে গ্রেফতার হলেন মামুনুল হক

হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ। মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

আজ রোববার (১৮ এপ্রিল) বেলা একটার দিকে তাকে মাদ্রাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে গণমাধ্যমকে জানান ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফর নিয়ে সাম্প্রতিক সহিংসতা ও রিসোর্টকাণ্ডে রাজধানীর পল্টন থানা ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দুটি মামলা হয়েছে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে। এছাড়া, ২০১৩ সালের শাপলা চত্বর তাণ্ডবের ঘটনাতেও তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে।

জানা গেছে, গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানাধীন রয়েল রিসোর্টে নারীসহ স্থানীয় লোকজনের হাতে আটক হওয়ার পর ছাড়া পেয়ে রাতেই ঢাকায় চলে আসেন তিনি। ঢাকার মোহাম্মদপুরের কাদিরাবাদ হাউজিংয়ের নিজ বাসায় না গিয়ে পাশেই জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় যান মামুনুল হক। সেখানেই অবস্থান করছিলেন।

মাদ্রাসায় নজর রাখছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কেননা এই মাদ্রাসার একটি কক্ষে বসেই ফেসবুকে লাইভ করছিলেন হেফাজতের এই নেতা। তবে সর্বশেষ লাইভে এসে দ্বিতীয় বিয়ের দাবির সপক্ষে স্ত্রীর কাছে সত্য গোপন করার অবকাশ রয়েছে এমন বক্তব্য দিয়ে নিজ দলের আলেম-ওলামাদের কাছে সমালোচনার শিকার হন তিনি। পরে চাপের মুখে সেই ভিডিও নিজের ফেসবুক আইডি থেকে ডিলিটও করে দেন।

মাদ্রাসা থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করতে পারে এ কারণে পাশেই নিজের বাসা হলেও তিনি সেখানে যাচ্ছিলেন না। তবে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী মামুনুলের অবস্থান নিশ্চিতের পর আজ রোববার তাকে ওই মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া থেকেই গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়।

দুপুর পৌনে ১টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর মামুনুলকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনারের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.