বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত কবরী

কিংবদন্তি অভিনেত্রী ও রাজনীতিবিদ সারাহ বেগম কবরীকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটলো ঢাকাই সিনেমার ‘মিষ্টি মেয়ে’ নামের বর্ণিল এক অধ্যায়ের। ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রি হারালো কিংবদন্তি আরেক অভিভাবক।

আজ শনিবার (১৭ এপ্রিল) বাদ জোহর করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এই কিংবদন্তির দাফনকাজ সম্পন্ন হয়েছে।এর আগে বাদ জোহর কবরস্থান প্রাঙ্গণে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

কবরীর জানাজায় অংশ নেন চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, সাবেক সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানসহ চলচ্চিত্র অঙ্গনের বেশ কয়েকজন। এছাড়া কবরীর পারিবার ঘনিষ্ঠজনরা ছাড়াও রাজনৈতিক সহকর্মীরা অংশ নেন।

এর আগে বেলা ১২টায় শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল থেকে কবরীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর গুলশানে তার নিজ বাসায়। সেখান থেকে মরদেহ দাফনের জন্য বনানী কবরস্থানে নেওয়া হলে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

টানা ১২ দিন করোনার সঙ্গে লড়াই করে শুক্রবার রাত ১২টা ২০ মিনিটে রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে মারা যান কবরী। তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।

বাংলা চলচ্চিত্রে কবরী এক বিস্ময় আর সৌন্দর্যের প্রতীক। অভিনয়ের মাধ্যমে রূপালী সুতোয় কেড়েছেন দর্শকের মুগ্ধ দৃষ্টি। ‘সুতরাং’ ছবিতে ১৪ বছর বয়সে মিনা পাল নামের এক কিশোরী তার ভুবন ভোলানো হাসির যে অচ্ছেদ্য মায়ায় বেঁধেছিলেন এ দেশের সিনেমা দর্শকদের; তার ঘোরে বাঙালি মুগ্ধ হয়ে থাকে পরবর্তী ৫৬ বছর।

সুভাষ দত্ত পরিচালিত ও অভিনীত ‘সুতরাং’ ছবির মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্রে নায়িকা কবরীর আবির্ভাব। ১৯৬৪ সালের ২৪ এপ্রিল মুক্তি পায় ছবিটি।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.