ওবায়দুল কাদেরের বাড়িতে ককটেল হামলা

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বড় রাজাপুরের বাড়িতে ককটেল হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার রাজাপুর গ্রামে ওবায়দুল কাদের ও কাদের মির্জার বাড়িতে এ ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে ১০-১২ জনের একদল দুর্বৃত্ত সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বাড়ির প্রধান ফটকে তিন-চারটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।

এসময় চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে আশপাশের লোকজন বের হলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। তবে এ হামলায় কোনো ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এসময় কাদের মির্জা বসুরহাট পৌরভবনেই অবস্থান করছিলেন।

এ বিষয়ে কাদের মির্জা অভিযোগ করেন, বাদলের অনুসারী বাসস্ট্যান্ডের সবুজের নেতৃত্বে ৮-১০টা মোটরসাইকেল মহড়া নিয়ে আমার ছোটভাই সাহাদাত হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরপর পাঁচটা ককটেল হামলা করা হয়। এতে দু’টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে।

বাড়িতে থাকা ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিভিন্ন পর্যায়ে ৭টা মোটরসাইকেলে করে দুর্বৃত্তরা এসে ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি গণমাধ্যমকে বলেন, খবর পেয়ে কাদের মির্জা সাহেবের বাড়ির সামনের বসুরহাট-দুধমুখা সড়ক থেকে তিনটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ছোটভাই সাহাদাত হোসেন দু’জনের নাম বলেছেন। তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সঙ্গে স্থানীয় উপজেলা আওয়ামী লীগের বিরোধ চলছে। কাদের মির্জার অভিযোগ ওবায়দুল কাদের তার প্রতিপক্ষদেরকে সহযোগিতা করছেন।

এসব অভিযোগ তুলে শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) ফেসবুক লাইভে এসে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে কোম্পানীগঞ্জে বিবদমান সমস্যার সমাধান করতে বলেন কাদের মির্জা।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.