লকডাউনে বন্ধ থাকতে পারে ব্যাংক-পুঁজিবাজার

করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির অবনতির কারণে আগামী ১৪ এপ্রিল (বুধবার) সকাল ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এ সময় ব্যাংক বন্ধ থাকবে কিনা সেটা প্রজ্ঞাপনে পরিষ্কার করা হয়নি। এ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈঠক চলছে।

আজ সোমবার (১২ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে- সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস/আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে ও সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন। তবে বিমান, সমুদ্র, নৌ ও স্থলবন্দর এবং এ সংশ্লিষ্ট অফিসগুলো এ নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবে।

এ বিষয়ে তাতক্ষণিকভাবে ব্যাংক বন্ধের বিষয়ে নিশ্চিত করতে পারেননি বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম। অর্থসূচককে তিনি বলেন, ‘কঠোর লকডাউনের বিষয়টি আমরা শুনেছি। তবে ব্যাংক বন্ধ থাকবে কিনা সে বিষয়ে সরকারের কোনো নির্দেশনা এখনো পাইনি। আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি।’

সূত্রমতে, ১৪ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সরকার আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের যে নির্দেশনা দিয়েছে, তার মধ্যে সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে এমনিতেই তিন দিন বন্ধ থাকতো ব্যাংক। তার সঙ্গে বাড়তি কয়েক দিনের জন্য ব্যাংক বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হতে পারে। অবশ্য এর আগে গত সপ্তাহের লকডাউনে (৫-৭ এপ্রিল) সীমিত পরিসরে ব্যাংক খোলা রাখা হয়েছিলো।

এদিকে পুঁজিবাজারেও লেনদেন এক সপ্তাহ বন্ধ থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম। তিনি বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত ব্যাংক খোলা থাকলে পুঁজিবাজারও খোলা থাকবে। আর ব্যাংক বন্ধ থাকলে লেনদেনও বন্ধ থাকবে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে ব্যাংকের লেনদেনের সঙ্গে সমন্বয় করে আজ সোমবার থেকে পুঁজিবাজারে আড়াই ঘণ্টার লেনদেন চলছে। কাল মঙ্গলবারও বাজারে আড়াই ঘণ্টা লেনদেন হবে। এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহ ব্যাংক বন্ধ হলে পুঁজিবাজারেও লেনদেন বন্ধ থাকবে।

অর্থসূচক/আরএ/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.