উদ্বোধনের পরদিন ইরানের পারমাণবিক প্রকল্পে ‘নাশকতা’

ইরানের নাতানজ পারমাণবিক কেন্দ্রে গতকাল রোববার একটি ‘অঘটন’ ঘটেছে। দেশটির শীর্ষ পরমাণু কর্মকর্তা এই ঘটনার জন্য ‘পরমাণু সন্ত্রাসবাদকে’ দায়ী করেছেন। নাতানজ কেন্দ্রে বৈদ্যুতিক বিতরণ গ্রিডের সমস্যা থেকে অঘটন ঘটেছে বলে জানান ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থার মুখপাত্র। আর ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ নাতানজ কেন্দ্রে সাইবার হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে গোয়েন্দা সূত্র।

তবে ইরানের ওই পারমাণবিক কেন্দ্রে ‘অন্তর্ঘাতমূলক’ হামলা হয়েছে বলে দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এর একদিন আগেই ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচির নতুন যন্ত্রপাতির তথ্য প্রকাশ করেছিল দেশটি।

দেশটির আণবিক প্রকল্পের শীর্ষ কর্মকর্তা আলি আকবর সালেহী অবশ্য এই ‘সন্ত্রাসী হামলার’ জন্য কাউকে নির্দিষ্ট করে দায়ী করেননি।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেহরানের দক্ষিণে নাতানজ পারমাণবিক কেন্দ্রটি ওই ঘটনায় বিদ্যুৎবিহীন হয়ে যায়।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমে গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ করা হচ্ছে যে, এটা ইসরায়েলি সাইবার হামলার ফলাফল ছিল। তবে এ ব্যাপারে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েল।

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ২০১৫ সালে সম্পাদিত এক চুক্তি ২০১৮ সালে বাতিল করে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। জো বাইডেন যখন পুরোনো চুক্তিতে ফেরার জন্য তৎপর তখনই ‘নাশকতা’র অভিযোগ এলো।

শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি নতুন এ সেন্ট্রিফিউজ উদ্বোধন করেন। যা সরাসরি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রকাশ করা হয়। পরমাণু সমৃদ্ধকরণ আরও উন্নত করতে এ যন্ত্রটি বসানো হয়েছে। যা রিয়েক্টর ফুয়েল ও পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

রোববারের ঘটনা প্রসঙ্গে আণবিক সংস্থার প্রধান আলী আকবর সালেহি বলেন, ইসলামী ইরান প্রজাতন্ত্র এই অস্বাভাবিক ঘটনার নিন্দা জানানো সঙ্গে সঙ্গে পারমাণবিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সংগঠন ও আন্তর্জাতিক নজরদারি সংস্থা আইএইএ’র বোঝাপড়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করছে।

আণবিক সংস্থার মুখপাত্র বেহরুজ কামালভান্ডি জানান, এ ঘটনায় কোনো হতাহত বা পরমাণু চুল্লির কোনো ক্ষতি হয়নি।
তেহরান থেকে প্রায় আড়াইশো কিলোমিটার দক্ষিণে নাটানজ এবং এখানেই ইরানের সবচেয়ে বড় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রকল্প।

সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.