করোনায় একদিনে এত মৃত্যু আগে দেখেনি বাংলাদেশ

করোনা মহামারির তাণ্ডবে টালমাটাল বিশ্ব। বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। এ অবস্থায় বিগত বেশ কিছুদিন ধরে দেশে করোনা রোগী শনাক্তের হার উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। সবশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন রোগী শনাক্ত কমেছে। তবে এ সময় করোনায় মৃত্যু বেশ বেড়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ছয় হাজার ৮৫৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর আগে গতকাল বুধবার (০৭ এপ্রিল) করোনা রোগী শনাক্ত হয় সাত হাজার ৬২৬ জন। যা একদিনে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড।

আগের সাত দিনে দেশে যথাক্রমে ৭৬২৬, ৭২১৩, ৭০৭৫, ৭০৮৭, ৫৬৮৩, ৬৮৩০ ও ৬৪৬৯ জন রোগী শনাক্ত হয়।

সর্বশেষ তথ্য অনুসারে দেশে নভেল করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ৬৬ হাজার ১৩২ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট ৩৩ হাজার ১৯৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আর পরীক্ষাকৃত এসব নমুনার ২০ দশমিক ৬৫ শতাংশের মধ্যে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

গতকাল দেশে ৩৪ হাজার ৬৬৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখন পর্যন্ত দেশে মোট ৪৯ লাখ ১৫ হাজার ৭৯৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আর মোট পরীক্ষার ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ পজিটিভ।

আজ বৃহস্পতিবার (০৮ এপ্রিল) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।


একনজরে দেশের করোনার চিত্র

নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন: ৬৮৫৪ জন

মোট আক্রান্তের সংখ্যা: ৬৬৬১৩২ জন

২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে: ৭৪ জনের

মোট মৃত্যু হয়েছে: ৯৫২১ জনের

২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন: ৩৩৯১ জন

মোট সুস্থ হয়েছেন: ৫৬৫০৩০ জন


গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৭৪ জন মারা গেছেন। যা দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এর আগে মঙ্গলবার (০৬ এপ্রিল) মারা যান ৬৬ জন। এরপর বুধবার (০৭ এপ্রিল) করোনায় মারা যান ৬৩ জন।

গত বছরের ৩০ জুন দেশে ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর চলতি বছরের ০৩ এপ্রিল মারা যান ৫৮ জন। এছাড়া গত বছরের ২৬ জুলাই ও ২৬ আগস্ট দেশে ৫৪ জনের মৃত্যু হয়।

গত সাত দিনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন যথাক্রমে ৬৩, ৬৬, ৫২, ৫৩, ৫৮, ৫০ ও ৫৯ জন।

সর্বশেষ তথ্য অনুসারে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে নয় হাজার ৫২১ জনে। মোট শনাক্তকৃত রোগীর বিপরীতে মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৩ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও তিন হাজার ৩৯১ জন সুস্থ হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা থেকে মোট সুস্থ হয়েছেন পাঁচ লাখ ৬৫ হাজার ৩০ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৮২ শতাংশ।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.