শিমুলিয়ায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি, ফেরি চলাচল সীমিত

লকডাউনকে কেন্দ্র করে সোমবারও (৫ এপ্রিল) দিনব্যাপী মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়াঘাটে দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া চাপ লক্ষ্য করা গেছে। সকাল থেকে নির্দেশনা অনুযায়ী সীমিত সংখ্যক ফেরি দিয়ে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।

বর্তমানে এ নৌরুটের ১৭টি ফেরির মধ্যে চারটি ফেরি সচল রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়াঘাটের উপ-ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ।

সীমিত সংখ্যক ফেরি চলায় ঘাট এলাকায় আটকা পড়েছে পণ্যবাহী ও ব্যক্তিগত সহস্রাধিক যানবাহন। এদের বেশিরভাগই ব্যক্তিগত গাড়ি বলে জানিয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।

এদিকে নির্দেশনা মোতাবেক নৌরুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে।

সোমবার সকাল থেকে ফেরির সংখ্যা বাড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভ করেন ঘাটে উপস্থিত যাত্রীরা। দুপুর ২টার দিকে ৩ নম্বর ফেরিঘাটে একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করেন তারা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত হননি।

লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, ‘সকাল থেকেই ঘাটে পুলিশ মোতায়েন ছিল। দুপুরে যাত্রীরা বিক্ষোভ করলে তা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’

মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর হিলাল উদ্দিন জানান, সীমিত সংখ্যক ফেরি চলায় ঘাটে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় হাজারের অধিক যানবাহন অবস্থান করছে। তাদের ঢাকায় ফিরে যাওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

শিমুলিয়া ফেরিঘাটের উপ-ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘লকডাউনের প্রথম দিন আজ সকালে যাত্রীদের তেমন চাপ না থাকলেও নির্দেশনা উপেক্ষা করে দুপুর থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘুরমুখো যাত্রীরা শিমুলিয়া ঘাটে এসে ভিড় করেন। রাতে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে আটকে পড়া যানবাহন মিলিয়ে একটি চাপ তৈরি হয়। তবে রাতে যেসব বাস আটকা পড়েছিল সেগুলো ও ছোট গাড়িগুলো পর্যায়ক্রমে পারাপার করা হচ্ছে। নৌরুটে বর্তমানে রায়পুরা, রানীগঞ্জ, যমুনা ও চাপালো নামের চারটি ফেরি সচল রয়েছে।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.