ক্রেডিট কার্ডে লেট পেমেন্ট ফি আদায় করা যাবে না

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছে। এ সময় ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধ না করলে গ্রাহকের কাছ থেকে লেট পেমেন্ট ফি আদায় করা যাবে না। প্রযোজনে বিল পরিশোধের সময়সীমা আরও ৫ দিন বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

রোববার (০৪ এপ্রিল) ব্যাংকগুলোকে এ নির্দেশনা দিয়ে একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধের তারিখ সরকার ঘোষিত সার্বিক কার্যাবলী-চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপকালীন সময়সীমার মধ্যে নির্ধারিত থাকলে উক্ত বিল পরিশোধের তারিখ নিষেধাজ্ঞা স্থগিত হওয়ার পরবর্তী ৫ কর্মদিবস পর্যন্ত পুনঃনির্ধারণ-বর্ধিত করার জন্য পরামর্শ প্রদান করা হলো। উক্ত পরিশোধের সময়সীমা পর্যন্ত লেট পেমেন্ট ফি আরোপ না করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো। নিষেধাজ্ঞা আরোপকালীন শুধুমাত্র প্রিন্সিপাল অ্যামাউন্টের উপর সুদ আরোপ করা যাবে। এক্ষেত্রে পরবর্তী মাসের বিলে পূর্ববর্তী মাসের বিলের সুদের উপর কোনো প্রকার নতুন সুদ আরোপ করা যাবে না। নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন (এনএফসি) সুবিধাযুক্ত কার্ডের লেনদেন সীমা ৩ হাজার টাকা হতে ৫ হাজার টাকায় উন্নীত করা হলো।

লেনদেন চালু রাখতে সার্বক্ষণিকভাবে এটিএম, পয়েন্ট অব সেলস, ইন্টারনেট, অ্যাপ ও ইউএসএসডি ভিত্তিক লেনদেন সেবা চালু রাখতে হবে। এ জন্য সকল ব্যাংক, এমএফএস, পিএসপি এবং পিএসও সমূহ স্ব স্ব সিস্টেম অবকাঠামোর উপর সতর্ক নজরদারী রাখবে এবং সিস্টেম ও ডেটাবেইজে সাইবার আক্রমণের ঝুঁকি মোকাবেলার জন্য ই-মেইল, ফিশিং ই-মেইল, র‌্যানসামওয়্যার আক্রমণ ইত্যাদি বিষয়ে বিশেষ নজরদারী পরিচালনা করবে; পরিবর্তিত পরিস্থিতি অনুযায়ী সকল অবকাঠামো যথারীতি চালু রাখতে হবে এবং এ সংক্রান্ত নিরাপত্তা ও সাইবার ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক থাকবে।

সকল ব্যাংক, এমএফএস, পিএসপি এবং পিএসও প্রতিষ্ঠানসমূহ স্ব স্ব গ্রাহক, মার্চেন্ট ও সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে লেনদেন সংক্রান্ত প্রতারণা ও স্যোশাল মিডিয়া, ই-মেইল, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কোভিড-১৯ ভিত্তিক আর্থিক প্রতারণার বিষয়ে সতর্ক করবে এবং বর্তমানে প্রচলিত পদ্ধতির পাশাপাশি নিজস্ব ওয়েবসাইটেও সতর্কতামূলক বার্তা প্রদর্শন করবে।

এছাড়া ব্যাংক ও পরিশোধ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ অভিযোগ গ্রহণ ও পরামর্শ প্রদানের জন্য ২৪ ঘণ্টা হটলাইন ও ইন্টারনেট ভিত্তিক গ্রাহক সেবা চালু রাখবে। একইসঙ্গে গ্রাহককে এ সময়ের সম্ভাব্য লেনদেনগত ও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন করার জন্য বিজ্ঞাপন প্রকাশ ও ই-মেইল/এসএমএস প্রেরণ করবে; এবং ব্যাংক, এমএফএস, পিএসপি, পিএসও এবং অন্যান্য আর্থিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের আইসিটি অবকাঠামো, সিস্টেম, ডেটাবেইজ নিরাপত্তা এবং সরকারি স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী গ্রাহক ও নিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেও কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সচেতনতা সৃষ্টি করতে যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণ করবে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.