রিসোর্টে ভাঙচুর চালিয়ে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন অনুসারীরা

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের মহাসচিব মামুনুল হককে এক নারীসহ অবরুদ্ধ করে পুলিশকে খবর দিয়েছিলেন স্থানীয়রা। তবে ওই নারীকে নিজের স্ত্রী বলে দাবি করেছেন হেফাজতের এই কেন্দ্রীয় নেতা।

পুলিশ জানায়, মামুনুল হক নারীসহ হোটেলে অবস্থানের খবর পেয়ে স্থানীয় কিছু লোকজন, ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীরা তার কক্ষটি ঘেরাও করেন। আর মামুনুল হক জানান, দ্বিতীয় স্ত্রীসহ অবকাশযাপনে গেলে কিছু লোক তাকে নাজেহাল করেন।

এরপর সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে হেফাজতের একদল নেতা–কর্মী, মাদ্রাসাছাত্র মিছিল নিয়ে এসে রয়েল রিসোর্ট নামের ওই অবকাশযাপন কেন্দ্রটিতে ভাঙচুর চালিয়ে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তখন মামুনুলকে কক্ষের ভেতর জিজ্ঞাসাবাদ করছিল পুলিশ। নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদসহ সোনারাগাঁ থানার কর্মকর্তারা তখন সেখানেই ছিলেন।

এর আগে সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তবিদুর রহমান বলেন, এখানে মামুনুল হক একজন নারীকে নিয়ে উঠেছেন, এই খবর পেয়ে এলাকার লোকজন ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের কিছু নেতা-কর্মী তার কক্ষটি ঘিরে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশও আসে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এখানে রয়েছেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এসেছেন।

মামুনুলকে ঘেরাওয়ের খবরে বিকেলে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা ‘রয়েল রিসোর্ট’ নামে ওই অবকাশ যাপনকেন্দ্রটিতে যান। সেখানে মামুনুল সংবাদকর্মীদের বলেন, দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে অবকাশ যাপনে তিনি ওই রিসোর্টে যান। সেখানে তাকে হেনস্তা করা হয়েছে।

মামুনুল হক বলেন, ‘মাস্তান প্রকৃতির লোকেরা এসে আমাকে আমার ওয়াইফসহ নাজেহাল করেছে। আমাকে আক্রমণ করেছে।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শনিবার দুপুরে তিনি স্ত্রীকে নিয়ে সোনারগাঁয়ে যান। জাদুঘর ঘুরে দেখে তিনি বিশ্রাম নেওয়ার জন্য ওই রিসোর্টে যান।

মামুনুল বলেন, ‘আমার বক্তব্য পরিষ্কার, আমরা এখানে একটু রিফ্রেশমেন্টের জন্য এসেছিলাম। এখানে অনেক উচ্ছৃঙ্খল লোক এসেছে। আপনারা দেখেছেন। আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’

স্থানীয় আলেমদের কাউকে জানিয়ে তিনি এখানে এসেছেন কি না, জানতে চাইলে মামুনুল বলেন, ‘না, আমি জানাইনি। যেখানে যাই মানুষজন ভিড় করে। এ জন্য আমি একটু আলাদা করে এসেছিলাম।’

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.