লকডাউনের আগের দিন বিজিএমইএ’র ভোট

মহামারির মধ্যেই নতুন নেতৃত্ব বেছে নিতে রোববার ভোট দেবেন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রায় দুই হাজার সদস্য। সংগঠনটির নির্বাচন এমন সময় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যেখানে মাত্র দুইদিন পরই করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে দেশে নতুন করে লকডাউনের কথা ভাবছে সরকার।

সূত্রমতে, আগামীকাল সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোটগ্রহণ চলবে। চট্টগ্রামে সংগঠনটির আঞ্চলিক কার্যালয়ে ভোটগ্রহণ হবে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।

শনিবার (৩ এপ্রিল) বিজিএমইএ’র সভাপতি ড. রুবানা হক জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে রোববার সকাল ৯টা থেকে রাজধানীর হোটেল রেডিসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের সদস্য হাবিবুল্লাহ এন করিম বলেন, ভোট দেওয়ার সময় সবাইকে মাস্ক পরতে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।

নির্বাচনে ৩৫ পরিচালক পদে এবার দুটি প্যানেলে মোট ৭০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে অংশ নেওয়া দুটি প্যানেল হলো—সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম।

ঢাবি অধ্যাপক ড. সৈয়দ ফরহাত আনোয়ার নির্বাচনি বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচিত পরিচালকদের মধ্য থেকে একজন সভাপতি ও সাত জন সহ-সভাপতি হবেন। প্রাথমিকভাবে সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরামের ৯৯ জন প্রার্থী ১০৩টি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।

গত ৪ মার্চ ৩৩টি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা হয়। এরপর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন বোর্ড। ফারুক হাসানের নেতৃত্বে এ নির্বাচনে জোটবদ্ধভাবে সম্মিলিত পরিষদ ও স্বাধীনতা পরিষদ নির্বাচন করছে। অপরদিকে সম্মিলিত ফোরামের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বর্তমান সভাপতি রুবানা হক ও তার ছেলে নাভিদুল হক।

ঢাকার ২৬ পরিচালক পদের জন্য সম্মিলিত পরিষদের প্রার্থীরা হলেন: ফারুক হাসান, শহিদুল হক, আবদুল্লাহ হিল রাকিব, শহীদউল্লাহ আজিম, নীলা হোসনে আরা, মহিউদ্দিন রুবেল, জাহাঙ্গীর আলম, খন্দকার রফিকুল ইসলাম, শিরিন সালাম, তানভীর আহমেদ, ইন্তেখাবুল হামিদ, কফিল উদ্দিন আহমেদ, ইমরানূর রহমান, আশিকুর রহমান, মিরান আলী, খসরু চৌধুরী, মশিউল আজম, নাছির উদ্দিন, এস এম মান্নান, শোভন ইসলাম, মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, হারুন অর রশীদ, আরশাদ জামাল, আসিফ আশরাফ, সাজ্জাদুর রহমান মৃধা ও রাজীভ চৌধুরী।

চট্টগ্রামে ৯টি পরিচালক পদের জন্য সম্মিলিত পরিষদের প্রার্থীরা হলেন: এ এম শফিউল করিম, এম আহসানুল হক, মো. হাসান, রকিবুল আলম চৌধুরী, তানভীর হাবিব, মোহাম্মদ মেরাজ-ই-মোস্তফা, অঞ্জন শেখর দাশ, আবসার হোসেন ও সৈয়দ নজরুল ইসলাম।

অন্যদিকে ঢাকায় সম্মিলিত ফোরামের প্রার্থীরা হলেন: ড. রুবানা হক, এ বি এম সামসুদ্দিন, আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, শিহাবুদৌজা চৌধুরী, এনামুল হক খান, ভিদিয়া অমৃত খান, কামাল উদ্দিন, মাশিদ রুম্মান আবদুল্লাহ, এম এ রহিম, শাহ রিয়াদ চৌধুরী, মিজানুর রহমান, খান মনিরুল আলম, এ এম মাহমুদুর রহমান, নাফিস উদ দৌলা, আসিফ ইব্রাহিম, মজুমদার আরিফুর রহমান, তাহসিন উদ্দিন খান, নাভিদুল হক, রশীদ আহমেদ হোসাইনী, ইকবাল হামিদ কোরাইশী, মাহমুদ হাসান খান, রেজওয়ান সেলিম, ফয়সাল সামাদ, রানা লায়লা হাফিজ, মেজবাহ উদ্দিন আলী ও নজরুল ইসলাম।

চট্টগ্রামে সম্মিলিত ফোরামের প্রার্থীরা হলেন: মোহাম্মদ আতিক, মোহাম্মদ আবদুস সালাম, এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, এনামুল আজিজ চৌধুরী, শরীফ উল্লাহ, মির্জা মো. আকবর আলী চৌধুরী, মোহাম্মদ দিদারুল আলম, রিয়াজ ওয়েজ ও খন্দকার বেলায়েত হোসেন।

২০১৯-২১ মেয়াদে বিজিএমইএ’র মোট ভোটার সংখ্যা এক হাজার ৯৫৫ জন। তাদের মধ্যে ঢাকায় এক হাজার ৫৯৭ জন। বাকি ৩৫৮ জন ভোটার চট্টগ্রামের।

গত ১২ জানুয়ারি বিজিএমইএ’র নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ৪ এপ্রিল নির্বাচনের পর অনানুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা করা হবে। চূড়ান্ত ফল ঘোষণা হবে ১০ এপ্রিল। নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন হবে ১৯ এপ্রিল। দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে ২০ এপ্রিল।

অর্থসূচক/আরএ/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.