ছাত্রলীগ নেতা রাব্বানীর অবস্থার অবনতি, আবেগঘন স্ট্যাটাস

গত দুদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসুবকে নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আজ শনিবার (০৩ এপ্রিল) রাব্বানী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে তার বর্তমান অবস্থার কথা তুলে ধরেছেন। বলেছেন পাওয়া না-পাওয়ার আক্ষেপের কথা। আবেগঘন স্ট্যাটাসে গোলাম রাব্বানী লিখেন, ‘জ্বর, সর্দি-কাশি আর শারীরিক দুর্বলতার সাথে গত দুদিন যাবৎ শ্বাসকষ্ট আর বুকে চাপ অনুভব করছি। গতরাতে কিছু সময়ের জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডারও ব্যবহার করতে হয়েছে।’

‘যদি কিছু হয়ে যায়, যদি অকালে চলে যেতে হয়… এই আফসোস, হতাশা আর মনোকষ্ট নিয়েই যেতে হবে…’

‘যে আদর্শ আর দলের জন্য এত ত্যাগ, জীবন-যৌবন, ক্যারিয়ার, স্বাধ-আহলাদ সব জলাঞ্জলি দিয়ে ইতিবাচক কাজ করতে চাইলাম, সেই দলেরই স্বার্থান্বেষী মহলের কাছ থেকেই মিথ্যা অপবাদ আর চরম অন্যায় আচরণের শিকার হলাম! আত্মপক্ষ সমর্থন, সত্য-মিথ্যা যাচাই-বাছাই, তদন্ত এসবের ন্যূনতম সুযোগও মিলল না, যা যেকোনো মানুষেরই প্রাপ্য অধিকার।’

রাব্বানী আরও লেখেন, ‘একজন প্রমাণিত দুর্নীতিবাজ ভিসিকে রক্ষা করতে গিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম ছাত্রসংগঠন ও এর শীর্ষ নেতৃত্বকে মিথ্যা অভিযোগে কলঙ্কিত করা হলো। যার বিরুদ্ধে সকল তথ্যপ্রমাণ থাকার পরও কোনো তদন্ত হলো না, বিচার হলো না! শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি, দুদক সব দেখে, জেনে বুঝেও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া ‘জিরো একশন টু করাপশন’ নীতি অনুসরণ করল!’

‘বেঁচে থাকলে নিজেই প্রমাণ করব ইনশাআল্লাহ। আর যদি মারা যাই, তাহলে শেষ ইচ্ছে ও চাওয়া থাকবে, দেশ ও জনগণের টাকা পুকুরচুরি করে আমাদের ওপর মিথ্যা অপবাদ দেওয়া জাবি ভিসি যেন কোনোভাবেই পার না পায়, জাতির সামনে যেন সত্যটা উন্মোচিত হয়, জোরপূর্বক থামিয়ে দেওয়া দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন যেন ফের শুরু হয়! ইউজিসি আর দুদকের যেন বিবেকবোধ জাগ্রত হয়! প্রাণের প্রতিষ্ঠান ছাত্রলীগ যেন কলঙ্কমুক্ত হয়।’

এর আগে গত ৩১ মার্চ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নিজেই করোনা আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন গোলাম রাব্বানী। রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষার পর ফলাফল পজিটিভ আসে তার।

চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২১০৯ সালের সেপ্টেম্বরে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানীকে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগও উঠে।

এরপর ভুল সংশোধনের সুযোগ চেয়ে ও ক্ষমাপ্রার্থনা করে প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি লিখেছিলেন গোলাম রাব্বানী।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.