বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ম্যাচ রেফারি

নেপিয়ারে অদ্ভুত এক ঘটনার সাক্ষী হয়েছে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। বৃষ্টির কারণে দুই দফায় খেলা বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশ যখন ব্যাটিংয়ে নামে তখন কোনো টার্গেট ছাড়াই ব্যাট করতে থাকেন লিটন দাস ও নাঈম শেখ। সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের এমন ঘটনা নিয়ে টুইটারে চলছে সমালোচনার ঝড়।

এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্য ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে নিউজিল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ দলের টিম লিডার ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক জালাল ইউনুস বলেন, ‘জেফ ক্রো পরে বারবার আমাদের সরি বলেছেন। ম্যাচের পরও ঘটনার জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছে।’

বৃষ্টির কারণে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড ব্যাট করতে পেরেছেন মাত্র ১৭.৫ ওভার। দ্বিতীয়বার বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে কিউইদের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ১৭৩ রান। এরপর আর মাঠে নামতে পারেনি তারা। ফলে বাংলাদেশ ব্যাটিং করার সুযোগ পাওয়া ১৬ ওভার। খেলা বন্ধ থাকায় ১৬ ওভারে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দেয়া হয় ১৪৮ রানের। জয়ের জন্য ওভারপ্রতি ৯.২৫ রান করে তুলতে হতো বাংলাদেশের। তবে টাইগারদের ইনিংসের ১.৩ ওভার পরেই দুই আম্পায়ার এসে খেলা বন্ধ করে দেন। তারা জানান প্রথমে দেয়া লক্ষ্যটি ভুল ছিল। পরবর্তীতে বাংলাদেশের নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬ ওভারে ১৭০।

এমন ঘটনার জন্য অসন্তষ্টি প্রকাশ করে ডমিঙ্গো বলেন, ‘আমার মন হয় আমি কখনও এমন কোনো ম্যাচ দেখিনি। কেউ জানতাম না লক্ষ্য কত, ডাকওয়ার্থ লুইসের হিসেব কীভাবে হচ্ছে। পাঁচ ওভার পর কত রান রাখা চাই- কেউই জানত না। আগে কখনোই এমন ম্যাচ দেখিনি। ম্যাচ শুরু হয়ে গেছে অথচ কেউ জানেই না কত রান করতে হবে! ডাকওয়ার্থ লুইসের হিসেব-নিকেশ শেষ করার পর ম্যাচ শুরু করা উচিৎ ছিল। কত ওভারে আমাদের কত রান করতে হবে তা নির্ধারণ করে দিয়ে খেলা শুরু করা উচিৎ ছিল। এমনটি দেখা মোটেও সুখকর নয়।‘

ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও জানিয়েছেন, ‘আমি মনে করি এখানে কিছুটা বিভ্রান্তি ছিল কারণ আমরা জানতাম না ডিএলএসের রানটা কত। এটা স্কোরবোর্ডে বদলাচ্ছিলো। এটা খেলায় হতেই পারে। প্রথম পাঁচ ওভার আমরা সঠিক পথেই ছিলাম। কিন্তু আমরা ভালোভাবে শেষ করতে পারিনি। নাইম এবং সৌম্য দারুণ ব্যাট করেছে। আমরা অনেক বল মিস করেছি, এগুলো আমরা কাজে লাগাতে পারিনি।’

 

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.