ভিপিএন নিষিদ্ধ যেসব দেশে

একাধিক নেটওয়ার্কের ভেতর যোগাযোগ স্থাপনে সহায়ক ভূমিকা রাখে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বা ভিপিএন। বেশিরভাগ মানুষ ব্লক করা ওয়েবসাইট ব্যবহার, তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা ও সেনসিটিভ কনটেন্ট ব্রাউজ করার জন্য ভিপিএন ব্যবহার করে।

বর্তমানে ভিপিএন ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে বেশিরভাগ মানুষ যে উদ্দেশ্যে ভিপিএন ব্যবহার করেন প্রকৃতপক্ষে সে উদ্দেশ্যে এটি তৈরি করা হয়নি। ব্যবসা ও বাণিজ্যিক নেটওয়ার্ককে সুরক্ষিত রাখার জন্যই ভিপিএন তৈরি হয়েছিল।

তবে ভিপিএন ব্যবহারে কিছু সমস্যা রয়েছে। সমস্যার কারণেই ভিপিএন ব্যবহার না করাই ভালো। এমন অনেক দেশ আছে যেখানে ভিপিএন ব্যবহার নিষিদ্ধ।

উত্তর কোরিয়া
স্বৈরতান্ত্রিক দেশ উত্তর কোরিয়ায় ভিপিএন বন্ধ থাকবে সেটা খুব একটা অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। ২০১৭ সালে প্রেস ফ্রিডম আদেশ জারি করে দেশটির সাধারণ নাগরিকদের জন্য ভিপিএন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়।

তুরস্ক
২০১৬ সাল থেকে ভিপিএন এবং টর ব্যবহারের ওপর তুরস্কে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে দেশটির সরকার নিরাপত্তাগত কারণে ভিপিএন ব্যবহার করে। ভিপিএন ও টর নিষিদ্ধ করার সময় দেশটির সরকার জানায়, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সমন্বিত যুদ্ধের কারণে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে তুরস্কের শহরাঞ্চলে ভিপিএন ব্যবহার করা না গেলেও সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে ভিপিএন ব্যবহার করা যায়।

রাশিয়া
সমাজতন্ত্রের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত রাশিয়ায় ২০১৭ সালে আইন প্রণয়ন করে ভিপিএনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

ইরান
২০১৩ সালে নির্বাচনের সময় ইরান ভিপিএনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার সময় জানায়, রাষ্ট্রীয় কাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের দমনের উদ্দেশ্যে এটি নিষিদ্ধ করা হলো।

চীন
চীনে ফেসবুক, গুগল ব্যবহারই নিষিদ্ধ। মানুষ যাতে এগুলো ব্যবহারের বিকল্প পথ অনুসন্ধান করতে না পারে সে কারণে দেশটির সরকার ভিপিএনের প্রতি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ভিপিএন ছাড়াও দেশটিতে জিমেইল, ইউটিউব, উইকিপিডিয়া, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, পিন্টারেস্টসহ আরও অনেক সাইট নিষিদ্ধ।

সংযুক্ত আরব আমিরাত
আরব বসন্ত চলাকালীন ২০১২ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিপিএন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। তবে এ নিষেধাজ্ঞা কেবল বেসামরিক নাগরিকদের জন্য। দেশটির সামরিক বাহিনী ও ব্যাংক কর্মকর্তারা ভিপিএন ব্যবহার করতে পারেন।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.