বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ম্যাচে বৃষ্টির হানা

আক্রমণাত্মক শুরুর পর পাওয়ার প্লে’তে দুই ওপেনারের বিদায়। ফর্মে থাকা ডেভন কনওয়েও ফিরলেন অল্প রানে। পাওয়ার প্লে’তে ৯ রান রেটে রান তুললেও ৩ ব্যাটসম্যানের বিদায়ে ক্রিজে নতুন জুটি। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির সঙ্গে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে সিরিজে ফেরার লড়াইয়ে ব্যস্ত বাংলাদেশ।

ইডেন পার্কে টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ক্রিজে নেমে দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল এবং ফিন অ্যালেনের ব্যাটে দারুণ শুরু কিউইদের। চতুর্থ ওভারে তাসকিন আহমেদের ওভারে আরও আক্রমণাত্মক এই জুটি।

মাহমুদউল্লাহর হাতে জীবন পেলেও ওভারের শেষ বলে নাইম শেখের হাতে ধরা পরলেন অ্যালেন। ১০ বলে ১৭ রানে এই ওপেনারের বিদায়ের পর পাওয়ার প্লে’র শেষ বলে আবারও স্কোরবোর্ডে নাম লেখালেন তাসকিন। তবে এবার ফিল্ডার হিসেবে।

সাইফউদ্দিনের পায়ের কাছে করা বলকে অনায়েসে ফ্লিক করে বাউন্ডারিতে পাঠাতে চেয়েছিলেন গাপটিল। কিন্তু তাসকিনের অসাধারণ ক্যাচে ডাগআউটে ফিরতে হয় তাকেও। ১৮ বলে ২১ রানে ফেরেন এই ওপেনারও। এরপরের অভারের প্রথম বলে কনওয়ে ফেরেন শরিফুলকে পুল করতে গিয়ে।

৯ বলে ১৫ রান করে ফর্মে থাকা এই ব্যাটসম্যান বিদায় নিলে ক্রিজে আসেন উইল ইয়ং এবং গ্লেন ফিলিপ্স। দলীয় ১০০’র আগে শেখ মেহেদিকে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে স্টাম্পিং হন ইয়াং। ১৪ রানে ফিরেন তিনি। এর খানিক পরই ম্যাচে হানা দেয় বৃষ্টি। কিউইদের সংগ্রহ ১২.২ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১০২ রান।

নিউজিল্যান্ড একাদশ: ফিন অ্যালেন, মার্টিন গাপটিল, ডেভন কনওয়ে (উইকেটরক্ষক), উইল ইয়ং, গ্লেন ফিলিপস, মার্ক চ্যাপম্যান, ড্যারিল মিচেল, টিম সাউদি (অধিনায়ক), ইশ সোধি, অ্যাডাম মিলনে ও হামিশ ব্যানেট।

বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ নাইম, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তাসকিন আহমেদ, শেখ মেহেদী, শরিফুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.