যে বিষয়গুলো সঙ্গীকে জানানো ঠিক না

অনেক স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিয়ের পর খুব ভালো বন্ধুত্ব হয়ে যায়। তারা নিজেদের সব কিছু শেয়ার করে ফেলেন। তবে এই অভ্যাস পুরুষের চেয়ে নারীদেরই বেশি। আবার অনেকেই খুব কাছের বন্ধুকে বিয়ে করে জীবনের সব খুঁটিনাটি শেয়ার করেন। কিন্তু সবকিছু অতিরিক্ত বলে ফেলার এ অভ্যাস মোটেও ভালো না। সম্প্রতি সম্পর্ক-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে সঙ্গীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে যেসব বিষয় গোপন রাখা উচিত সে সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে যা বলা হয়েছে জেনে নিন-

শারীরিক বৈশিষ্ট্যের অপছন্দের নানা দিক
কেউই সম্পূর্ণ সঠিক নয়। আপনার সঙ্গীরও নানান দোষ ত্রুটি ও অসম্পূর্ণতা থাকতে পারে যা আপনার অপছন্দ। সঙ্গীর চেহারার যেকোনো ত্রুটি যা সমাধান করা সম্ভব না, সেগুলো নির্দিষ্ট করে বলা তার মাঝে নিরাপত্তাহীনতার সৃষ্টি করতে পারে। তাই এই বিষয়ে সঙ্গীকে অবগত না করাই ভালো।

আনন্দঘন অন্তরঙ্গ মুহূর্তের অভিজ্ঞতা
নিজের জীবনে বিগত কোনো ভালো অন্তরঙ্গ মুহূর্ত বা অভিজ্ঞতা থাকলে তা সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনা করা ঠিক নয়। এটা সঙ্গীর মনে কষ্ট বা আত্মবিশ্বাসে আঘাত করতে পারে। আর যদি নিজেদের মধ্যে সমঝোতা খুবই ভালো হয়, তবে রয়েসয়ে বলাই ভালো। যাতে সঙ্গীর মনে হীনমন্যতা তৈরি না হয়।

শ্বশুর বাড়ির অস্বস্তি
শ্বশুর-বাড়ি সামলানো বিবাহিত জীবনে বড় একটা বিষয়। নানান সমস্যা হতেই পারে। সেসব বিষয়ে সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনা করা প্রয়োজন। তবে ‘তোমার বাবা-মাকে আমার পছন্দ না’ এরকম কথা সরাসরি বলে নিজেদের সম্পর্ক নষ্ট করার মানে হয় না। তাই সমস্যা থাকলে তা নিয়ে নানান ভাবে সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে।

প্রাক্তনের সঙ্গে যোগাযোগ
অনেকেই প্রাক্তনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখেন বা যোগাযোগ রক্ষা করেন। এটা কোনভাবেই বর্তমান সঙ্গীকে জানানো ঠিক না। সঙ্গী জানলে নানান অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন, বিবাদ বা হিংসাবোধে ভুগে ধীরে ধীরে সম্পর্ক নষ্ট করে দিতে পারে। তাই প্রাক্তনের সঙ্গে বার্তা আদান-প্রদান বা ফোনের যোগাযোগ কেবল নিজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখুন।

অর্থসূচক/আরএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.