তীরে এসে তরী ডুবল ইংল্যান্ডের

শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৪ রান প্রয়োজন ইংল্যান্ডের। ৪৯তম ওভারের প্রথম বলে রানআউট মার্ক উড। প্রথম বল খেলতে নেমেই এক রান নিয়ে প্রান্ত বদল করলেন রিচ টপলি। ৯১ রানে অপরাজিত থাকা স্যাম কারানকে স্ট্রাইকে। ৪ বলে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ১৩ রান। মনে হচ্ছিলো ম্যাচটা জিতে যাবে ইংল্যান্ড। কিন্তু সেই ম্যাচ আর জেতাতে পারলেন না ৮ নম্বরে নেমে অবিশ্বাস্য ব্যাটিং করা কারান।

ভারতের দেয়া ৩৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩২২ রানেই নির্ধারিত ৫০ ওভারে শেষ করে ফেলে ইংল্যান্ড। ফলে ৭ রানের পরাজয় মেনে নিয়ে সিরিজ খোঁয়াতে হলো ইংলিশদের। কারানের পরিবর্তে ম্যাচ জয়ের নায়ক বনে যান থাঙ্গারাসু নাটারাজন। ফলে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ২-১ এ সিরিজ জিতে নেয় ভারত।

অবশ্য অনেক আগেই ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছিল ইংলিশরা। ৩৯ ওভার দুই বলে ২৫৭ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল জস বাটলারের দল। সেখান থেকেই দলকে জয়ের আশা দেখানো শুরু করেন কারান। কিন্তু ৮৩ বলে ৯৫ রানের ইনিংস খেলেও দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিতে পারেননি এই অলরাউন্ডার।

৩৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ইংল্যান্ড। ১৫৫ রানের মধ্যেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। পাঁচ টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন ডেভিড মালান। বেন স্টোকসের ব্যাট থেকে আসে ৩৬ রান। এছাড়া আর কোন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান বলার মতো রান করতে পারেননি। ৬ নম্বরে নামা লিয়াম লিভিংস্টোন করেন ৩৬ আর সাতে নামা মইন আলীর ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান।

ভারতের হয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন শার্দুল ঠাকুর এবং ৩ উইকেট নেন ভুবনেশ্বর কুমার। যদিও শেষ ওভারে বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং করে ম্যাচের নায়ক ওই নাটারজানই। এদিকে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ভারতকে উড়ন্ত শুভ সূচনা এনে দেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মা এবং শিখর ধাওয়ান। রোহিত ৩৭ বলে ৩৭ রান করে আদিল রশিদের বলে বোল্ড হয়ে গেলে ভাঙে তাদের ১০৩ রানের জুটি। ৫৬ বলে ৬৭ রান করে রশিদের বলেই ফেরেন ধাওয়ানও।

৭ রান করা অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে ফেরান মঈন আলি। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান লোকেশ রাহুল এদিন ৭ রানের বেশি করতে পারেননি। ফলে ১০৩ রান থেকে ১৫৭ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। সেখান থেকে ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নেন ঋষভ পান্ত এবং হার্দিক পান্ডিয়া। ১৫৭ থেকে দলের স্কোর তারা দু’জনই নিয়ে যান ২৫৬ রান পর্যন্ত। ৬২ বলে ৭৮ রান করা পান্তকে স্যাম কারান ফেরালে ভাঙে তাদের ৯৯ রানের জুটি। পান্ডিয়ার ব্যাট থেকে আসে ৪৪ বলে ৬৪ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস।

সাত নম্বরে নেমে ক্রুনাল পান্ডিয়া ২৫ এবং আট নম্বরে নেমে শার্দুল ঠাকুর ৪০ রান করেন। এরপর আর কোন ব্যাটসম্যান বলার মতো রান না করতে পারলেও ১ ওভার ৪ বল বাকি থাকতেই সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩২৯ রানে থামে ভারত। ইংল্যান্ডের হয়ে ৩টি উইকেট নেন মার্ক উড ২টি উইকেট রশিদের।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.