বিবৃতিদাতা ২০ জনকে বুদ্ধিজীবী বলতে ‘লজ্জা’ তথ্যমন্ত্রীর

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সম্প্রতি যে ২০ জন বিবৃতি দিয়েছেন তাদেরকে বুদ্ধিজীবী বলতে আমার লজ্জা হচ্ছে। কারণ, তাদের উচিত ছিল স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিন যারা ধর্মের নামে হাঙ্গামা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে বিবৃতি দেওয়া।

তিনি বলেন, কিন্তু তারা সেটি না করে সরকারি সম্পত্তিতে আগুন দেওয়া, ভূমি অফিস, রেল স্টেশন জ্বালিয়ে দেওয়া, থানা ও সাধারণ মানুষের ওপর আক্রমণকারীদের পক্ষ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।

আজ রোববার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা আর স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি বলে নিজেদের দাবি করতে পারেন না। টেলিভিশনের পর্দায় গিয়ে তারা সুশীল বলে দাবি করতে পারেন না। তারা উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর সঙ্গে মিশে গেছেন। তাই তাদেরকে বুদ্ধিজীবী বলতে লজ্জা হচ্ছে।

কোনও বক্তি বা গোষ্ঠীর রাজনৈতিক অভিলাষ চরিতার্থের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত না হতে মাদ্রাসা শিক্ষক-ছাত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও সরকারি সম্পত্তি রক্ষার দায়িত্ব পালনে সরকার যে কোনও নৈরাজ্য দমন করার জন্য বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস পালন না করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশে আগমনকে অজুহাত বানিয়ে দেশ, রাষ্ট্র ও জনগণের সম্পত্তির ওপর আক্রমণ ও আগুন দিয়ে দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার পেছনে রাজনৈতিক অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে। কোমলমতি শিশু-কিশোরদের রাজনৈতিক ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা, রাজনৈতিক হাঙ্গামার মধ্যে ঠেলে তাদের দিয়ে সরকারি সম্পত্তিতে আগুন দেওয়া অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক, অগ্রহণযোগ্য এবং দুষ্কৃতিকারী মনোবৃত্তি।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমি কওমি মাদ্রাসার সঙ্গে যুক্ত সকলকে অনুরোধ জানাবো, যে সব ব্যক্তিবর্গ তাদের রাজনৈতিক অভিলাষ চরিতার্থ করার জন্য আপনাদেরকে ব্যবহারের অপচেষ্টা করছে, ব্যবহার করছে, তাদেরকে বর্জন করুন। তাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হবেন না এবং শিশু-কিশোরদেরকে ব্যবহার করবেন না।

কওমি মাদ্রাসার কল্যাণে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বহু কাজ করেছে এবং ইসলামের খেদমতে তিনি যে সব কাজ করেছেন, অতীতে তা কেউ করেনি উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে এই কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। প্রায় একলাখ মসজিদে স্থাপিত মক্তবের আলেমদের প্রতিমাসে সাড়ে ৪ হাজার টাকা করে ভাতাও তিনি চালু করেছেন। সারা দেশে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পও তিনি বাস্তবায়ন করে চলেছেন। শুধু কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি দিয়েই বঙ্গবন্ধুকন্যা ক্ষান্ত হননি বরং সেখান থেকে পাস করা অনেককে সরকারি চাকরিও দিয়েছেন।

এর আগে পঁচাত্তরের পরের অন্য সরকারগুলো তাদের পাশে বসিয়ে মুরগির কল্লা-মাছের মাথাই খাইয়েছেন, স্বীকৃতি দেননি, বলেন হাছান মাহমুদ।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.