৫৯ রানে ৬ উইকেট নেই বাংলাদেশের

ডেভন কনওয়ে ও অভিষিক্ত উইল ইয়ংয়ের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে রানের পাহাড় গড়েছে নিউজিল্যান্ড। নির্ধারিত ২০ ওভারে তাদের সংগ্রহ ৩ উইকেট হারিয়ে ২১০ রান।

নিউজিল্যান্ডের বড় রানের জবাবে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। তারা দলীয় ২০ রানেই ওপেনার লিটন দাসের উইকেট হারায়। তিনি ব্যক্তিগত ৪ রানে টিম সাউদির বলে ক্যাচ দিয়েছেন ইশ সোধির হাতে।

শুরুতে লিটন ফিরলেও নাঈম শেখ ব্যাট হাতে দারুণ সাবলীল ছিলেন। যদিও ব্যক্তিগত ২৭ রানে লকি ফার্গুসনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। আর সৌম্য সরকারকে ফিরতি ক্যাচে ফিরিয়েছেন ইশ সোধি। একই ওভারে মোহাম্মদ মিঠুনকে ব্যক্তিগত ৪ রানে আউট করেছেন এই কিউই স্পিনার। এক ওভার পর ইশ সোধির দুই বলে দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

এরে আগে হ্যামিলটনে এই ম্যাচের টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কিউই অধিনায়ক টিম সাউদি। তবে শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। তারা শুরুতেই হারায় আরেক অভিষিক্ত ফিন অ্যালেনের উইকেট।

নিজের করা প্রথম ওভারেই তাঁকে সাজঘরে ফিরিয়েছেন অভিষিক্ত টাইগার স্পিনার নাসুম আহমেদ। এই স্পিনারের বোলিং ঘূর্ণিতে কোনো রান না করেই বোল্ড হন ফিন।

প্রথম ওভারেই ফিনের উইকেট হারালেও কিউদের রানের চাকা সচল রেখেছেন শততম টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা মার্টিন গাপটিল। পাওয়ার প্লেতে তিনি টাইগার বোলারদের রীতিমত শাষণ করেছেন।

এর ঠিক পরেই ব্যক্তিগত ৩৫ রানে নাসুমের বলে সৌম্য সরকারকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন গাপটিল। তৃতীয় উইকেটে অভিষিক্ত ইয়ংকে নিয়ে ঝড় তোলেন ডেভন কনওয়ে। তিনি ৩৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন।

ইয়ংয়ের ব্যাট চলেছে আরও গতিতে। তিনি মাত্র ২৭ বলে অভিষেক টি-টোয়েন্টিতে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। এরপর শেখ মেহেদীকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ব্যক্তিগত ৬৫ রানে ইয়ং সীমানার কাছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন।

আর তাতেই ভেঙেছে এই দুজনের ১০৫ রানের জুটি ভাঙে। শেষদিকে কিউইদের রানটাকে পাহাড়ে রূপ দেন একপ্রান্ত আগলে রাখা কনওয়ে। তিনি ৫২ বলে ৯২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.